অভয়নগরে গৃহবধূ আত্নহত্যা প্ররোচনায় বিচার দাবি

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের বাসুয়াড়ি গ্রামে আলেয়া বেগম (৪৬) নামে এক মহিলা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তিনি ঐ এলাকার সামাদ মোল্যার স্ত্রী।
১০ সেপ্টম্বর স্ত্রী বিষপানে আত্নহত্যার পর ১২ সেপ্টেম্বর সামাদ মোল্যা প্রাণে বাঁচার জন্য ছেলে আশরাফুলের কাছে ফরিদপুর চলে যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এলাকার আদম ব্যবসায়ী গফ্ফার মোল্যার পুত্র নাজমুল মোল্যা (৩৭) বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে লোক পাঠান। নিহত আলেয়া বেগমের ভাই ইসমাইল বিশ্বাস সৌদি আরবে চাকুরী করেন। আদম ব্যবসায়ী নাজমুল মোল্যা সম্প্রতি ইসমাইল বিশ্বাসের মাধ্যমে ৪ জনকে সৌদি আরবে পাঠান। সেখানে কাজে যোগদানের কিছুদিন পর চুরি সংক্রান্ত অপরাধে শাহাজান খলিফার পুত্র বিল্লাল খলিফা সজল ও জিল্লুর রহমানের পুত্র ইমরান হুসাইন দেশে ফিরে আসেন। কয়েকদিন পর নাজমুল মোল্যা কোন আলোচনা ছাড়াই ইসমাইল বিশ্বাসের বোন আলেয়া বেগমকে নয় লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে আদম ব্যবসায়ী নাজমুল মোল্যা, শাহাদত মোল্যা ও ফেরত আসা দুই জন ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ সন্তানদের জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে বলে জানান সামাদ মোল্যা। ১০ সেপ্টেম্বর আবার হুমকির মুখে পড়ে আলেয়া বেগম, অপমানের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দুপুর ২.০০টার দিকে বিষপান করেন। সাথে সাথে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আনুমানিক বিকাল ৫.৪৫ টায় মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়েন আলেয়া বেগম।
নিহতের ভাই ইসমাইল বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র বোন লেনদেনের বিষয়ে কোন কিছুই জানে না। আমার বোনের মৃত্যুর জন্য নাজমুল মোল্যা গংরা দায়ী, আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অপর ভাই ইকবাল বিশ্বাস আক্ষেপ করে বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ৬.০০টার দিকে খুলনা গেলে আমার বোনকে মৃত দেখতে পাই। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় আমরা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারিনি।
বাসুয়াড়ি ক্যাম্পের এসআই শফিকুল বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি, সোনাডাঙ্গা থানা তদন্ত করছে।
সোনাডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সন্দীপ বলেন, ময়নাতদন্ত করে ভিসেরা রিপোর্টর জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।