এস.এম আরিফঃ শারদীয় দুর্গাপূজায় আজ শুভ বিজয়া দশমী। এই দিনেই দেবী মর্ত্য ছেড়ে ফিরে যাবেন স্বামীগৃহ কৈলাসে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে আজ শুধুই বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় থাকবে দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর। পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের শেষ দিন আজ বুধবার (৫ অক্টোবর)। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ বছরের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব।

সারাদেশের ন্যায় এবারো তাড়াশ পৌরসভা ও সদর ইউনিয়ন মিলে ১৬টি, মাধাইনগর ইউনিয়নে ৬টি, দেশীগ্রাম ইউনিয়নে ৯টি, তালম ইউনিয়নে ৬টি, বারুহাঁস ইউনিয়নে ৪টি, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নে ২টি, নওগাঁ ইউনিয়নে ১টি, সগুনা ইউনিয়নে ১টি সহ সর্বমোট ৪৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তাড়াশ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত ঘোষ।

গতকাল তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপগুলোয় সকাল থেকে মানুষের উপস্থিতি শুরু হয়। বিকেলের দিকে এ উপস্থিতি ভিড়ে পরিণত হয়।

উৎসবকে ঘিরে তাড়াশ উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সন্তুষ্টি জানিয়েছেন হিন্দু ধর্মীয় নেতারা।

তাঁরা বলেন, দুর্গোৎসবে করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে আবারও অনুসারীদের পদচারণে মুখরিত হয়েছে মন্দির-মণ্ডপ। এ উৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মের মানুষের মাঝে বিপুল আনন্দ বিরাজ করছে। দেবী মায়ের কাছে প্রার্থনা, দেশ-জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সবার সুখ ও সমৃদ্ধি হোক।

বিজয়া দশমীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কারণ, দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর।

সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী জানা যায়, এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে স্বর্গে বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে। যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।