গত বৃহস্পতিবার অফিস শেষে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।হঠাৎ! আব্বা কল দিয়ে বললেন-“বাবা,বেশি রাত কইরা আইসো না।প্রয়োজন হইলে কালকে ভোরে আইসো….

▫️কেনো আব্বা?গ্রামে সমস্যা চলতাছে নাকি?

▫️না..মানে,গ্রাম তো নির্জন তাই বললাম বেশি রাত না করতে!

আব্বার সাথে কথা বলে একটু কেমন যেনো লাগছিলো কিন্তু আমি যাবোই।আজকেই যাবো।বাসের টিকিট কেটে সোজা রওনা হলাম চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে।

বাসে তেমন কোনো সমস্যা হলোনা।বাড়ির থেকে মাত্র ৭-৮ কিলোমিটার দূরে নামতে হলো।আমি একাই নামলাম।মেইন রোডের পাশে নামলাম যার দুইপাশে ঢালু নিচু রাস্তা।অনেক্ষন অপেক্ষা করতে লাগলাম কিন্তু রিক্সা এলোনা।

প্রায় একলা একলা আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর একজন রোগা-পাতলা রিক্সা ওয়ালা আসলেন।এসেই বললেন-“উঠে পরেন।”

আমিও উঠে পরলাম।কিন্তু অবাক করার বিষয় উনাকে তো আমি বললাম না যে আমি কই যাবো আর ভাড়া কতো??তাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি হুবোহু বাসার এড্রেস বলে দিলেন।আমি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম।আবার ভাবলাম হয়তো আব্বা পাঠিয়েছেন।।।

তিনি কিছুক্ষণ পর ভারী কন্ঠে বললেন,”মাথা নিচে রাখেন।কিছু শুনলেও উপড়ে তুলবেননা!”

▫️কিহ?কেনো?

উনি কিছু বললেন্না।হঠাৎ!দেখলাম সামনে কেউ ঘোড়ায় চড়ে আসছে।মানে!!এতো রাতে এমন একটা জায়গায় তাও ঘোড়া নিয়ে।তিনি আবারো বললেন মাথা নিচু করতে।করলাম,কারণ যদি উনি না নিয়ে যান তাইলে সব শেষ আমার।

এইবার অবাক না হয়ে অনেকটাই আতংঙ্কিত হয়ে গেলাম কারণ ১ ঘন্টার রাস্তা মাত্র ১০ মিনিটে।আমি বাসার সামনে।উনি তাড়াহুড়ো করে নামতে বললেন আর বললেন ভাড়া লাগবে না আর পিছনে তাকাবেন না।সোজা চলে যাবেন।আমি কিউরিসিটি নিয়ে পিছনে তাকালাম,পায়ের মাটি সরে গেলো!!আরেহ!লোকটা নেই।কেউই নেই।আর রিক্সা টা ৫০ হাত দূরে থাকলে আমি দেখতে পেতাম।এইটা দেখে আমি সাথে সাথে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলি আর পরদিন নিজেকে নিজের বাসায় পাই।আব্বা ঘটনা শুনে অনেক বকা দেন আর দোয়া পড়ে ফু দিয়ে দেন।কিন্তু ঘটনাটা আজও মনে পরলে ভয় হয়,কি ছিলো সেটা?

আরিফুল ইসলাম