রিপন রানা বরিশাল, বরিশাল চরমোনাই ইউনিয়নে এক কিশোরীকে ৭ মাস ধরে ধর্ষন ও বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

[বিচারের জন্য এখন সেই মেয়ে ও তার পরিবার সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘূড়ছেন। শুধুমাত্র সঠিক বিচার পাওয়ার আশায়]

সদর উপজেলা চরমোনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা ভ্যান চালক মোঃ আলমগীর বেপারীর মেয়ে (ছদ্বনাম) তানিয়া আক্তার চরমোনাই ইউনিয়নে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ ইং সালে চরবুখাইনগর নিবাসী মোঃ রাব্বি খানের সাথে সামাজিক রীতি-নীতি অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন।

গত ২০-১১-২০২১ইং তারিখে বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসলে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে গেলে আমি বিশ্বাসের হাট মুরাদ টেলিকম (মুরাদের মোবাইলের দোকানে) ফোন সারতে যাই। আমার মোবাইলটি মুরাদ সারিয়ে রাখবে বলে পরেরদিন আমাকে মোবাইল নিতে আসতে বলে।

আমি তার কথা মত পরেরদিন দোকানে মোবাইল আনতে গেলে সে আমার ফোন নাম্বার রাখে এবং বলে আজকে সারানো হয়নি। সারানো হলে আপনাকে ফোন দিবো।

এভাবে পর-পর ৩/৪দিন মুরাদ আমার মোবাইল না দিয়ে আমার সাথে তাল-বাহানা করতে থাকে। প্রথমে আমি তার চালাকী বুজতে পারিনি। এভাবে সে দিনের পর দিন আমাকে মোবাইল সারিয়ে না দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায় এবং আমাকে সে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করি তখন সে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়।

আমাকে আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বলে। আমি স্বামীকে ডিভোর্স দিলে আমাকে বিয়ে করবে এবং ৫০০,০০০/- (পাচ লক্ষ) টাকার কাবিন করে আমার নামে ব্যাংক একাউন্ট করে ৫০০,০০০/- (পাচ লক্ষ) টাকাই আমার একাউন্টে রেখে দিবে। আমি তার কথায় ভরসা রেখে সরল বিশ্বাসে আমার স্বামীকে গত ২৩-০২-২০২২ ইং তারিখে ডিপোর্স দিয়ে স্বামীকে বিদায় করে দেই।

সাথে সাথে সে আমাকে বটতলা আমির কুটির তাসলিমা মনজিলে বাসা ভাড়া করে দেয়। সেখানে আমি ৩/৪ মাস থাকার পর ঐ বাসা ছেড়ে পরবর্তীতে সি.এন্ড.বি পুল কাজী-পাড়া রোডে অন্য বাসা ভাড়া করে আমরা দুজন স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস করি। আমি প্রায় প্রতিদিনই তাকে বিয়ের কথা বললে মুরাদ কাল-পরশু, আগমী শুক্রবার/আগামী রবিবার এভাবে দিন পার করে আসছে।

এর মধ্যে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরি।
তখনো আমি তাকে বিয়ের জন্য বললে সে আমাকে বলে বাচ্চা অবস্থায় বিয়ে করলে মানুষে মন্দ বললে তাই বাচ্চা নষ্ট করার জন্য গত ০৫-০৫-২-২২ ইং তারিখে আমাকে ঔষধের দোকান থেকে এম কিট নামের দুটি ঔষধ সেবন করাইয়া বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করায়।

সে জরুরী কাজে বরিশালের বাহিরে যাবে বলে গত ০৬-০৯-২০২২ ইং তারিখ আমাকে ঢাকা আমার এক আত্মীয়র বাসায় ফুসলিয়ে দুদিনের জন্য বেড়াতে পাঠানোর কথা বলে গাড়ীর টিকিট করে গাড়ীতে উঠাইয়া দেয়। ঢাকা থেকে আসার পরই আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সাথে প্রোমিজ করে। আমি তার কথামত আমার আত্মীয়র বাসায় ঢাকা বেড়াতে যাই। ঢাকা যাওয়ার পর আমার আর খোজ খবর নেয়না। আমি ফোন দিলে আমাকে হঠাৎ বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং প্রান নাশের হুমকি দেয়। আমি বিষয়টি বুজতে পেরে ঢাকা থেকে বরিশাল চলে আসি।

আমি যখন বরিশাল বাসার সামনে আসি তখন রাত প্রায় ১১টা। তখন তাকে ফোন দিয়ে বাসা খুলতে বললে সে বাড়ীওয়ালাকে বাসার চাবী না দিবার জন্য বলে এবং সে বরিশালের বাহিরে আছে বলে আমাকে জানায়। কোন উপায় না পেয়ে তখন রাত ১১টার সময় আমার পরিচিত অন্য এক বাসায় উঠি এবং সকালে তার ফোনে না পেয়ে মা-বাবার কাছে ফিরে আসি।

মুরাদ আমার সাজানো সংসার ভেঙ্গেছে, জীবন-কে চিরতলে ধ্বংস করেছে এবং আমাকে দীর্ঘ ৬/৭ মাস বিয়ে না করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রেফ করেছে। আমি মুরাদের দৃষ্টান্ত মূলক/উপযুক্ত শান্তি ও বিচার চাই।

অভিযুক্তকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন,ভাই আমার গীর্জা মহল্লা তাজ কমপ্লেক্স মার্কেটে মুরাদ মোবাইল হসপিটাল সেন্টার ২নং ষ্টল মোবাইল সার্ভিসিং করি আপনি যদি আমার দোকানে আসেন একসাথে চা খাবো এই বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

এবিষয়ে চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ জিয়াউল করিম এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, এধরণের কোনো ঘটনা ঘটছে কি না তা আমার জানা নেই,যদি ঘটে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।