তরিকুল ইসলাম তারেক: পিতার উপরে অভিমান করে খাদিজা আক্তার (১৬) বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার রাতে গ্রাম্য হাতুড়ি ডাক্তার মকবুল হোসেনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খাদিজা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৬ নং গান্না ইউনিয়ন চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ এর মেয়ে। খাদিজার স্বামী মহসিন আলী জানান, আমি মহাসিন আলী পিতা, জমির আলী গ্রাম-গহেরপুর, বিত্তিরদাড়ি থানা-দর্শনা জেলা-চুয়াডাঙ্গা। আজ থেকে আট, নয় মাস আগে পারিবাকি ভাবে খাদিজার সাথে আমার বিবাহ হয়। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য খাদিজা আমাকে পাত্তা দেয় না, এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে অপমান জনক কথাবর্তা বলে, এমনকি সে আমার সংসার করবে না বলে আমাকে এড়িয়ে চলে। বিষয়টি আমি আমার বাড়ির লোকজন এবং আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানালেও কোন কাজ হয়নি। এর মধ্যে গত পরশুদিন ১৭/০৯/২০২২ইং তারিখ আমার শ্বশুর আমার এবং তার মেয়ে খাদিজাকে তাদের গ্রামের বাড়ি চন্ডিপুরে নিয়ে আসে। গতকাল রাতে আমার শ্বশুর তার মেয়ে খাদিজাকে আমার সামনে অনেক বকাঝকা করে এবং উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা ডাসা দিয়ে শাশাতে থাকে এবং ডাসার উল্টো পিঠ দিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে আমার স্ত্রী লজ্জা পায় এবং কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ঢুকে যায় এর কিছুক্ষণ পরে রাত আনুমানিক ১০টায় বুঝতে পারি সে বিষ পান করেছে। আমি চিৎকার করে সবাইকে ডাকা ডাকি করি। আমি ডাক্তারের কাছে নিতে চাইলে এখানকার লোকজন বলে আমারদের গ্রামে ডাক্তার আছে কিছুক্ষণ পরে গ্রামে এক ডাক্তার এসে আামার স্ত্রীকে মুখের মধ্যে নণ ঢুকিয়ে ওয়াশ করতে থাকে এবং পরে তিনি মারা যান। আমাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে এবং সকালে ৬নং গান্না ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বেতাই চন্ডিপুর, মেম্বার মীর কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি সালিশে বসে সেখানে আমাদের পরিবারের লোকজনদের কাছে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ বাদি করে আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন জানায়, আগে লাশ দাফন করার ব্যবস্থা করি তারপর বিষয়টি নিয়ে বসে আলোচনা করা যাবে । কিন্তু মেম্বর কামরুজ্জামান কোন কথায় কর্ণপাত করেন না। বলে আগে এখানে টাকা ফেলবি,তারপর অন্যকথা। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে মেম্বর কামরুজ্জানের হুকুমে তার লোকজন আমাদের উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। চড়, ঘুষি, লাথি, দিয়ে মারতে থাকলে আমার ছোট ভাই অজ্ঞান হয়ে যায় এবং আমার চাচির নাকে রক্তক্ষরণ হলে তাদেরকে চিকিসাৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এয়াড়াও আমার আব্বা, খালু, চাচা,ভাইসহ আমার গ্রামের আত্মীয়রাও তাদের হাত থেকে রেহায় পায়নি। মহসিনের পিতা জমির আলী জনান, বিচারের নামে এ কেমন বর্বরতা? একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে এমন অমানকি অত্যাচার পরতে পারে? আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি চাই। এবং আমার বৌমার হত্যার জন্য তার পিতাই দ্বায়ী, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। ঝিনাইদহ সদর বেতাই চন্ডিপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই গৌরাংগুরী জানান, বেতাই চন্ডিপুর গ্রামে একটি অপমৃত্যু ঘটে (বিষ পানে আত্মহত্যা) মেয়ের ছোট চাচা সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ করলে তারই প্রেক্ষিতে এখনে এসে মৃত ব্যক্তির ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে প্রেরণ করি পোস্টমর্টেমের পর জানা যাবে মৃত্যুর আসল ঘটনা। মৃত্যু নাকি আত্মহত্যা। এবং ২টি মোবাইল উদ্ধার করি যা থানা হেফাযতে থাকবে। এবিষয়ে ৬নং গান্না ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মীর কামরুজ্জামের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জনান, আমি কেন টাকা চাইবো? আর টাকা কি তারা দিয়েছে? কোন সালিশই হয়নি।