ইনজুরি টাইমের ৮ মিনিট। খেলা চলছিল একেবারেই শেষ সময়ে। বাম দিকে থ্রো পায় বাংলাদেশ। থ্রো দিতে যান বাংলাদেশের রাতুল। সেই থ্রো সিঙ্গাপুরের জন তানের মাথায় লেগে চলে যায় নিজ দলের গোলরক্ষক ইসাক লির কাছে। কিন্তু বল তার হাত ফসকে জালে গেলে উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। ফলে ২-১ গোলে নাটকীয় জয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের ‘ই’ গ্রুপ থেকে চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখলো লাল-সবুজরা। শুক্রবার তাদের ম্যাচ ভুটানের বিপক্ষে।

এই মাঠেই তাদের বছরব্যাপী অনুশীলন। এই দলটির ফুটবলাররা অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ খেলে এসেছে। তাই তাদের কাছে ভালো খেলা প্রত্যাশা করেছিল সবাই। অথচ তাদের জিততে হলো সিঙ্গাপুরের করা দুই গোলে। ম্যাচে তিন গোল হয়েছে। দুটি অতিথি দলটির আত্মঘাতী গোল। আর তাতেই জয় পল স্মলির।

বাংলাদেশ দলের খেলায় বলতে গেলে হতাশই হয়েছেন কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার দুয়েক দশর্করা। ১০ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে লিড নিয়ে তা ধরে রাখতে পারেনি। স্ট্রাইকার মিরাজুল ইসলামের গোল মিসই ভুগিয়েছে। অথচ অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে তার হ্যাটট্রিক ছিল মালদ্বীপে বিপক্ষে।

৩ মিনিটে নাজিমউদ্দিনের গোল মিস দিয়ে শুরু। বিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়েও তা বাইরে মারেন তিনি। ১০ মিনিটে পল স্মলি বাহিনীর এগিয়ে যাওয়া। নাজিমউদ্দিনের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজ জালেই বল ঢুকিয়ে দেন ব্রাইদেন। এরপর ১৫ ও ২৭ মিনিটে মিরাজুল দু’টি গোলের চান্স মিস করেন। দুই বারই বাধা সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক ইসাক লি। ২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া দর্শনীয় শটে সমতা আনেন সিঙ্গাপুরের মোহাম্মদ সাইজোয়ান। পোস্টে নেয়া দুই শটের একটি জালে পাঠায় আসিয়ান অঞ্চলের দেশটি।

শুরু থেকেই রক্ষনাত্মক ভঙ্গীতে খেলা সিঙ্গাপুর বিরতি পর নিজেদের সীমানায় থেকেই খেলতে থাকে। আর বাংলাদেশ খেলোয়াড় বদল করে চড়াও হয়ে খেলেও ছন্ন ছাড়া আক্রমনে কোনো সুবিধাই করতে পারছিল না। ড্রিবলিংয়ে দারুন দক্ষ সুমন সরেন। তবে বল বেশি ড্রিবলিং করতে গিয়ে আক্রমনই নষ্ট করেছেন। ৭৩ মিনিটে তার পাস থেকেই পোস্টের অনেক বাইরে মেরে দর্শকদের হতাশ করেন মিরাজুল। বাংলাশে দলের খেলা দেখে মনে হয়েছে এদের বাফুফের এলিট অ্যাকাডেমিতে রেখে তেমন কিছুই শেখানো হয়নি। এরপরও ভাগ্য ভালো জয়ে আসর শুরু করতে পেরেছে তারা।