বিএনপির চলমান সংঘাতে নিজ দলীয় কর্মীদের হাতেই নিহত শাওন

টাকার লোভ দেখিয়ে বিএনপির নেতারা অভাবী পরিবারের ছেলেদের লেলিয়ে দেন মিছিল-মিটিংয়ে সংঘর্ষ করতে। তারপর লাশ বানিয়ে সেই লাশ দিয়েও অপরাজনীতি করে বিএনপি।
বিএনপির এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন দেশের বিজ্ঞজনরা। বিএনপি সৃষ্ট সংঘাত এড়াতে অভাবী ও অসহায় জনগণকেও সতর্ক হতে বলছেন তারা।
তারা বলছেন, অল্প কয়টা টাকার লোভে দয়া করে বিএনপির মিছিল-মিটিংয়ে যাবেন না। আপনাকে লড়াইয়ে নামিয়ে দিয়ে লাশ বানাবে, আপনার পরিবারকে নিঃস্ব করবে। আর সেই লাশ নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করবে। পরিবার বয়ে বেড়াবে আজীবন হাহাকার আর আর্তনাদ। জন্মদাত্রী মা নিজের নাড়িছেঁড়া ধনকে হাতড়ে বেড়াবে সময়ে অসময়ে।
বিএনপির চলমান সংঘাতে নিজ দলীয় কর্মীদের হাতেই নিহত শাওনের মা লিপি আক্তারের সাথে গণমাধ্যমের কথা হলে তিনি জানান, ‘আমার চার ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে শাওন সবার বড়। ছেলেটা অল্প বয়সে বিয়ে করল, আমাদের সংসারের হাল ধরল। গত বুধবার বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে আমাকে বলেছিল, ঘুরতে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু আমার ছেলে আর ফিরে এল না। ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। আমার আট মাস বয়সী নাতিটাও বাবাকে চেনার আগে হারিয়ে ফেলল।’
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকায় শাওনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সন্তান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে ঘরের এক কোণে বসে কাঁদছেন লিপি আক্তার। বাড়িতে দুটি ভাঙা টিনের ঘর। আরেকটি ঘরের ভেতর বসে কাঁদছিলেন শাওনের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। এ বাড়ির ছেলে শাওন পেশায় ছিলেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক।
ওই বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালে শাওনের সঙ্গে সাদিয়ার বিয়ে হয়। আট মাস আগে তাঁদের একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। শিশুটির নাম রাখা হয় সাহাদ ভূঁইয়া। অভাব-অনটনের সংসারে যখন যে কাজ পেতেন, তা-ই করতেন শাওন। সে উপার্জন দিয়েই স্ত্রী-সন্তান ও মা–বাবার খরচ জোগাতেন।
স্বামী-সন্তান হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাদিয়া আর লিপি আক্তারদের মত অভাবী পরিবারের সদস্যরা।