সাদেকুল ইসলাম বিরল(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১০,নম্বর ইউনিয়নের হালজায় গ্রামের মৃত রমজান আলীর স্ত্রী মোছাঃ আছিয়া বেগম (৬৫) এর ক্রয়কৃত জমি অবৈধ ভাবে জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

এবিষয়ে ১৯,শে সেপ্টেম্বর বিরল থানায় উপস্থিত হয়ে আছিয়া বেগম এর পুত্র মোঃ আব্দুল আজিজ (৪৮) বাদী হয়ে ০৪ (চাঁর) জন কে আসামী করে বিরল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে আব্দুল আজিজ বলেন, আমার মাতা আছিয়া বেগম ১৮/০৪/১৯৭৯ ইং, সালে ( সি,এস) রেকর্ড মূলে ওয়ারিশ সাহের উদ্দীন গংদের নিকট হালজায় মৌজার ২২৪২খতিয়ানের ২৪০৪ দাগের ২৫, শতাংশ জমি ক্রয় করেন, যাহার হেবাবিল এওয়াজ দলিল নাম্বার-১৫১৩২, ক্রয় সূত্রে মালিক হইয়া জমি ভোগদখল করিতে থাকেন।
পরবর্তীতে আমি উক্ত জমিতে আমি লেবু গাছের বাগান করে তাহা ভোগদখল করে আসতেছি। উক্ত জমিতে আমার একটি আমের গাজ আমি গত ১৬,সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিক্রির উদ্দেশ্যে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় আসামী, ০১। মশিউর রহমান (৪২) ০২। মনসুর আলী (৩০) ০৩। আনিসুর রহমান (২৮) ও রাশিদুল ইসলাম (৪৩) সকলের পিতা মৃত আফাজ উদ্দীন, সর্ব সাং হালজায় উক্ত জমি তাদের বলিয়া উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে উক্ত জমি কেন্দ্র করে আমার সাথে অহেতুক তর্কে জোড়ায় ও অবৈধভাবে আমার জমি তাদের বলে দাবী করে ও জবরদখলের চেষ্টা করে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন তাদের প্রতিবাদ করিতে গেলে তাঁরা আমাদের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মিথ্যা মামলা সহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়।
এ বিষয়ে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
ফখরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জগতপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷
অভিযোগ কারী আব্দুল আজিজ জানায়,
আমি নিরীহ মানুষ হওয়ায় এই চক্র বহুদিন যাবৎ আমাদের জমি বিভিন্নভাবে জবরদখলের অপচেষ্টা করে আসছে, আমি যে ০৪ (চাঁর) ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তাদের বাবা আফাছ উদ্দীন জীবিত থাকা অবস্থায় আমার বাবা, আমি সহ আমার ভাইদের আসামী করে জেলা দিনাজপুর বিরল থানা মেজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে, মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন হয়রানি হবার পরে বিজ্ঞ আদালত আমাদের সকল কাগজপত্র দেখে এবং বাদীপক্ষের অনুপস্থিতির কারণে ২৬/০৭/ ২০০০ ইং মামলাটি খারিজ করে দেন। যার মামলা নম্বর-
২২এস,আর ৯৩ (টি,আর ৬৫/৯৯)

তিনি আরও বলেন হালজায় গ্রামের আফাজ উদ্দীন মারা গেলে পরবর্তীতে তার ছেলে ০১। মশিউর রহমান (৪২) ০২। মনসুর আলী (৩০) ০৩। আনিসুর রহমান (২৮) ও রাশিদুল ইসলাম (৪৩) সকলের পিতা মৃত আফাজ উদ্দীন।সকলে মিলে উক্ত জমি তাহাদের বলিয়া বানোয়াট কাগজপত্র নিয়ে বার বার আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও অবৈধ ভাবে জমি জবরদখলের চেষ্টা করে আসতেছে, এ বিষয়ে নিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিস বৈঠকের সে কোন তোয়াক্কা করে না। আমাদের মা সহ আমাদের স্ব পড়িবারে হত্যার হুমকি দেয়।
তাঁরা এলাকার দাঙ্গাবাজ লোক তাদের ভাইদের মধ্যে ২/১ জন খুনের মামলার আসামী তাই এলাকার কেউ ভয়ে তাদের সাথে কথা বলেনা।
আমি নিরীহ মানুষ এমতাবস্থায় আমি সহ আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রেখে আইনের আশ্রয় নিয়েছি ।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের কেউ কথা বলতে রাজী হয়নি।