মিরসরাইয়ে সংখ্যালুঘুদের ওপর গভীর রাতে তান্ডব

হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের খন্ডচিত্র
মিরসরাইয়ে সংখ্যালুঘুদের ওপর গভীর রাতে ৩ ঘন্টাব্যাপী ১২ টি বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব ও মানুষ হত্যা। এটাই বিএনপির Take Back Bangladesh!
একবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশকে কোন যায়গায় নিয়ে যেতে চায় বিএনপি?
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের দশপাড়া গ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় গভীর রাতে বিএনপির একদল সন্ত্রাসী প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী ১২টি বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা ধারালাে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সুনীল দাশ সাধু (২৫) নামের এক যুবককে খুন করেছে।
২০০১ সালের ৭ ই নভেম্বর ভোরের কাগজ পত্রিকায় আতঙ্কের জনপদ মিরসরাই নামের এক প্রতিবেদনে এসব চিত্র ফুটে ওঠে।
আরো জানা যায়,আওয়ামী লীগ সমর্থক জণপ্রতিনিধিরাও সেখানে নিস্তার পাচ্ছেন না। আওয়ামী লীগ বা জণপ্রতিনিধিদের বাড়িতে আগুন, মৎস্য, খামার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপা্ট এবং মারধর এমনকি দিগম্বর করে ছেড়ে দেওয়া।গত ২ নভেম্বর প্রকাশ্য বাজারে একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দিগম্বর করে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনার পর থানার ১৬টি ইউনিয়নের প্রায় সকল চেয়ারম্যান চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
চিকিৎসাধীন জোরারগঞ্জের দিলীপ মজুমদার জানালেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা তার কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিত না পারায় কুপিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিরসরাইয়ে এইরকম অসংখ্য বিএনপি সন্ত্রাসীদের ঘটনা তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
৭ নং কাটাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, নির্বাচনের ৮ দিন পুর ইছাখালিতে তার মৎস্য প্রজেক্টে সম্ভ্রাসীরা হামলা চালিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ তুলে নেয়। তিনি জানান, এখানকার সন্ত্রাসীরা প্রায় সবকটা মৎস্য খামার লুট করেছে।
৫ নং ওসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের ৩ দিন পর বিএনপির সন্ত্রাসীরা তার পুকুরে বড়াে জাল দিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। তার এলাকায় সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ কর্মী ও ১০ নং মিঠানলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া জানান, গত ৬ অক্টোবর বিএনপি সন্ত্রাসীরা ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর এবং গালিগালাজ করতে থাকে। তারা বােমা ফাটিয়ে চেয়ারম্যানকে আর কার্যালয়ে না আসার নির্দেশ দিয়ে যায়।
৪ নং ধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আকরামী নানা হুমকির মুখে অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন। এসব অভিযোগের সকল প্রমাণ ও পাওয়া যায় প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।