রামগড়ে মীনা দিবস ২০২২ পালিত

মোঃমাসুদ রানা,স্টাফ রিপোর্টারঃ”নিরাপদ ও আনন্দময়” পরিবেশে “মানসম্মত শিক্ষা “এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় জেলা, উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ে পালিত হচ্ছে মীনা দিবস ২০২২। তারই ধারাবাহিকতায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে ও এই দিবসটি পালন করা হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকাল ১০.৩০ টায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও রামগড় উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষ্যে পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়,র্যালীটি রামগড় পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পদক্ষীন শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এসে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত এর সভাপতিত্ব ও সহকারী শিক্ষা অফিসার উম্রাচিং চৌধুরীর সঞ্চালনা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়, এসময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ,রামগড় উপজেলা তথ্য সহকারী অফিসার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, উপজেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রুম্রচাই কার্বারী প্রমুখ। এছাড়াও রামগড় উপজেলার সরকারি বেসরকারি দপ্তরে পদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষক,শিক্ষার্থী, স্থানীয় গন্যমান্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, ও সাংবাদিক বৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য যে মীনা একটি উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত ও সাহসী মেয়ের নাম, মীনা কার্টুন চরিত্রে মীনার বয়স নয় বছর, এই কার্টুনের আরও দুটি চরিত্রের নাম মীনার ভাই রাজু আর পোষা পাখি মিঠু।
লিঙ্গ বৈষম্য রোধ “শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচতেনতা ও শিশু নিরাপত্তার গুরুত্ব নিয়ে মিনা কার্টুনের গল্পগুলো তৈরি করা হয়। কার্টুনটি বাংলা,ইংরেজী” উর্দু, হিন্দি ও নেপালি ভাষায় সম্প্রচার করা হয়েছে,কার্টুন ছাড়াও কমিক বই ও রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে, এর স্রস্টা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার। এই কার্টুনটির সূচনা সংগীতটিও শিশুদের কাছে খুব প্রিয়। ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতিবছর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর এই দিবসটি উদযাপন করা হয়।