লবিস্ট নিয়োগ করেও ব্যর্থ বিএনপি

বাংলাদেশ নিয়ে যখন বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে, ঠিক সেসময় শেখ হাসিনার উপস্থিতি জাতিসংঘে যেন আলো ছড়ালো। বিশ্ব নেতারা অকুণ্ঠ প্রশংসায় ভাসিয়েছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে। তবে এতে মোটেই খুশি হয়নি বাংলাদেশের সরকারবিরোধী মহল।জানা যায়, বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমানে অতীতের যেকোনও সময়ের চাইতে অধিক সক্রিয়তার সাথে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হচ্ছে। তারা বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন ইত্যাদি ইস্যুতে দেশে-বিদেশে কূটনৈতিকদের কাছে নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উত্থাপন করছেন।অভিযোগ রয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করে বিএনপি-জামায়াত,যার পেছনে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করা হয়েছে। এসব লবিস্ট নিয়োগে চুক্তি হয়েছিলো ৮টি, যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চাপ সৃষ্টি করা এবং নির্বাচনকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়।
সূত্রমতে, এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। এজন্য নতুন করে আরও ২০ কোটিরও বেশি টাকা লবিস্ট ফার্মের পেছনে ব্যয় করা হয়।এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে বড়ো ধরণের বিক্ষোভ মিছিলের জন্যও অনেক অর্থ ব্যয় করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।অন্যদিকে, নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবার যেন প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত না দেওয়া হয়, সেজন্যও বিএনপির লবিস্ট ফার্মগুলো খুব সক্রিয় ছিল বলে জানা যায়। এমনকি শেখ হাসিনাকে যেন সংবর্ধনায় দাওয়াত না দেওয়া হয় তার পেছনে যুক্তি হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচন ইত্যাদি প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিলো। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর লবিস্ট ফার্মের এই আবদার গ্রহণ করেনি। বরং হোয়াইট হাউজ জানিয়ে দেয়, শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে জো বাইডেন আগ্রহী। আর এভাবেই শেষ পর্যন্ত বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের উদ্যেশ্য বা মিশনটি ব্যর্থ হয়ে যায়।