মোঃ নয়ন শেখ,স্টাফ রিপোর্টারঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় একই দিনে দুইটি সিজারে ১ জন প্রসূতির মৃত্যু অপর জন মৃত্যুশয্যায় থাকার অভিযোগ রোগীদের স্বজনদের।

রোগীদের স্বজনদের সূত্রে জানতে পারা যায় যে, গত বুধবার (২১ সেপ্টমবর)সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার মাইটকুমড়া গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে তন্নী খানম (১৯) অসুস্থ হলে দ্রুত তাকে লোহাগড়া উপজেলার পৌর শহরের লোহাগড়া আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের কলেজ মাঠ সংলগ্ন রেমেডি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় । পরে ওখানে কোন নার্স না থাকায় ঝর্না নামের একজন আয়া, পুরুষ কর্মচারি ফয়েজ ছিলো তারা আমাদের মেয়েকে ঐ দিন বুধবার বেলা ১ টার সময় তড়িঘড়ি করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও অ্যানেসথেসিয়া বা অজ্ঞান ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল- মামুন নিজেই রোগীকে অজ্ঞান করে, সিজারিয়ান অপারেশন করতে যেয়ে, আমাদের মেয়ে তন্নীর প্রসাবের থলি কেটে ফেলে এবং ব্লিডিং বন্দ করতে না পেরে, ওই অবস্থায় একদিন ক্লিনিকে রেখে অযাথা চেষ্টা করে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হলে পরের দিন বৃহস্পতিবার ২২ তারিখে আমাদের মেয়েকে খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন ডাঃ মামুন। পরে তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলনা আড়াইশো বেডে ভর্তি করে রোগীর সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এবং সেখান থেকে ঔষুধ চালানোর আগেই সিজার করার ৩ দিন পর রোগীর মৃত্যু হয় । আমরা এটার তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার চাই।

একই দিনে ৪ টার সময় কোটাকোল ইউনিয়নে রাসেল খন্দকারের স্ত্রী মোসাঃ জেবা খানমকে ও লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের ফাতেমা বেগম জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও, অ্যানেসথেসিয়া বা অজ্ঞান ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল- মামুন নিজেই রোগীকে অজ্ঞান করে, সিজারের ৩ দিন পরেই রোগীর অবস্থা বেহাল হলে পরে তাকে খুলনা পাঠানো হয়।তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক তিনি এখন খুলনা গাজী মিজানুর রহমান সার্জিক্যাল ক্লিনিকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকেই বলেন, ডাঃ আব্দুল্লাহ আল- মামুন এর আগে ৬ থেকে ৭ জন রোগীকে বিভিন্ন ক্লিনিকে মেরেছে। এবং তাদের স্বজনদের পরবর্তীতে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে। রোগীদের জীবন নিয়ে খেলা করা তার পেশা এবং নেশা হয়েছে। শুধুমাত্র এটা নয় তিনি লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হয়েও সরকারি অফিস টাইম এর মধ্যেও রোগীদের থেকে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়ে রোগী দেখেন।আমরা আরো জানতে পারলাম সে টাকা দিয়ে মাস্তান পালে কেউ কিছু বল্লে তাকে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে জীবননাশের হুমকি দেন । সে লোহাগড়াতে যা ইচ্ছে তাই করলে ও কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখেনা তার উপর মহলে বড় লিংক রয়েছে টাকা দিলে সব ঠিক হয়ে যাই । আমরা অসহয় মানুষ আমরা এই খুনি ডাক্তারের বিচার চাই। এই রকম ভাবে আর কোন মায়ের কোল যেন খালি না হয়। আমরা লোহাগড়া বাসি এই ক্ষুনি ডাক্তারের তদন্ত সাপেক্ষে অপসারণের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে কয়েকজন সাংবাদিক সরজমিনে যেয়ে ক্লিনিক মালিকদের কাছে তথ্য চাইলে তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি টাকা দিয়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। এবং তিনি আরো বলেন এরকমটা শুধু আমি একা করছিনা লোহাগড়ার সর্ব ডাক্তাররাই করে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম মাসুদের মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি বলেন, এ বিষয় টি আমার জানা ছিল না তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয় জানার জন্য নড়াইল জেলা সিভিল সার্জন, ডাঃ নাছিমা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায় না।