শহিদুল্লাহকে কক্সবাজার বিএমএসএফ থেকে অব্যাহতি

ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কক্সবাজার জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। সংগঠন নিবন্ধণ ০৬/২০২২ এর ৩নং অনুচ্ছেদের ঙ এবং চ ধারার বিধানমতে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, বিএমএসএফ কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার জেলা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্বকালে তার বিরুদ্ধে সংগঠন এবং সাংবাদিকতা বিরোধী নানাবিধ অসৌজন্য আচরণের অভিযোগ থাকায় সংগঠনের সকল পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। অব্যাহতির পর থেকে তার সাথে কাউকে সাংগঠনিক ভাবে যোগাযোগ না রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র আরো জানায়, কক্সবাজার ও টেকনাফের চিহ্নিত মাদক কারবারিদের কমিটি প্রদান, আজীবন সদস্য করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগসহ টেকনাফ উপজেলা বিএমএসএফ সাধারণ সম্পাদক আরফাত সানি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাদককারবারীদের হামলায় আহত, মোবাইল ছিনতাই ও জিম্মির শিকার হন। আরাফাত সানিকে ৯৯৯ এর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহন করে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিক মোবাইল উদ্ধার করে ১ নং আসামী কাউন্সিলরের ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল্লাহ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে, মোটা অংকের বিনিময়ে নিজ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মাদককারবারীদের পক্ষ নিয়ে প্রথমে টেকনাফ শাখা স্থগিত করেন এবং উস্কানী দিয়ে মাদককারবারীদের মাঠে নামিয়ে নিজ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করাতে সহায়তা করেন৷ একই সাথে তিনি বিক্ষোভের ভিডিও ও ছবিসহ সংবাদ বিভিন্ন জনকে পাঠিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদককে দিয়ে অনুরুপ একটি অযৌক্তিক আদেশে টেকনাফের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সানির পদ স্থগিত মর্মে নোটিশ করাতেও তিনি বাধ্য করেছিলেন।
এ ঘটনায় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সংগঠনের মাঝে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে কেন্দ্র থেকে একটি তদন্ত টিম পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয় ৷ এছাড়া শহীদুল্লাহ কক্সবাজার জেলায় ৫-৭ টি সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত টিম গঠনের নামে সরেজমিনে হামলাকারীদের পক্ষাবলম্বন করে এ পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন কেন্দ্রে দাখিল করেননি।
জানাগেছে, সবগুলো তদন্ত কাজেই তিনি অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের পক্ষাবলম্বন করে গেছেন; যা একটি সাংবাদিকবান্ধব সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের শামিল। সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে তিনি অপেশাদার, মাদককারবারী, কক্সবাজারে থাকেন না এমন লোকদেরকে তিনি কমিটিতে রেখে প্রকৃত বিএমএসএফ প্রেমীদের বিতাড়িত করেছেন।