রাশেদুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচর দক্ষিনে একসময় ছিলো সবুজ নীলা ভুমি, জন মানবহীন ছিলো বনাঞ্চল। কালের ক্রমান্বয়ে শুরু হয় মানুষের বসবাস। বনের ভিতরে ছিলো নানা প্রজাতির হিংস্র পশু তার মধ্যে অন্যতম ছিলো বনো বাঘ, কেন্জা বাঘ,খেঁকশিয়াল। যদিও খেঁকশিয়াল মানুষের কোনো ক্ষতি করে না।কিন্তু তার বিপরীত ঘটছে সুবর্ণচরের ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার সময় শিয়ালের কামড়ে গুরুতর আহত শাহাজাহান নামে এক ব্যাক্তি।

স্থানীয়রা জানায়- একটি খেঁকশিয়ালকে আমরা দেখতে পাই যার শরীরের মাংস প্রায় ৩০ কেজির মতো হবে। তার একটু পর শুনতে পাই একজন বৃদ্ধাকে কামড় দেয়, এবং একটি ছাগল কেও কামড় দেয়, তার পর জমির আইলে আরেক মহিলার কাপড়ে কামড় দেয়।মহিলাটি চিৎকার করে বাড়িতে চলে আসেন।

এর পর আহত শাহাজাহানকে কামড় দেয় তিনি জানায় -আমি জমিতে ধান গাছে গ্যাস দিচ্ছি, একটু ক্লান্ত লাগছিলো তাপর আমি জমির আইলে প্রস্রাব করতে বসি, এমতাবস্থায় পিছন থেকে আমাকে কামড় দেয় শিয়াল আমি নানা ভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করি। কিন্তু পারি নি,পর পর সে আমাকে কামড় দিতে থাকে – আমার পিঠ,হাটু, হাত সহ বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়।আমি শিয়াল শিয়াল বলে চিৎকার করি, কিন্তু কারো সাড়া পাই নি। এক পর্যায়ে আমি সামনে থাকা একটি ছোট বাঁশ দিয়ে শিয়ালের মাথায় কামড় দিলে শিয়াল একটু নিরব হয়।তার পর আমার আর কিছু মনে নাই আমি বেহুশ হয়ে পড়ে থাকি।

স্থানীয়রা আরো জানায়- আমরা তার চিৎকার শুনি কিন্তু শিয়ালে এভাবে কামড় দিবে কখনো কল্পনা করতে পারি নি। হঠাৎ করে দেখি তার চিৎকার বন্ধ এগিয়ে দেখি বেহুশ হয়ে জমির আইলে পড়ে আছে রক্তে লাল হয়ে গেছে পানি, সেঁতসেঁত রক্ত পড়ে আছে জমির আইলে । আরেক পাশে আধা- মরা শিয়াল শিয়াল দেখতে পাই।তার পর আমরা তাকে কাধে করে বাড়িতে নিয়ে আসি।

গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রায় রাত ৮.৩০ হবে স্থানীয়রা সহ আমাদের প্রতিনিধি – আহত ব্যাক্তিকে দেখতে যান- সেখানে ওনারা বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ করেন। যেসব আঘাতের ক্ষত রয়েছে মনে ব্যাক্তিকে পাগলা কোনো বন্য খেঁকশিয়াল কামড় দিয়েছে, কিন্তু এই প্রাণী কামড় বিষাক্ত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

টাকার অভাবে নিতে পারছেন হাসপাতালের। আহত ব্যক্তি বলেন- সরকারি হাসপাতালে ও এখন টাকা ছাড়া কিছু মিলেন। যদিও আমাদের কে জানিয়েছেন গ্রাম্য ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করতেছে।