মো: আবুল কালাম (চিলমারী কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকায় দাফনের প্রায় ২৫ বছর পর একটি অক্ষত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন ২০২৫) দুপুরে ফকিরেরহাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার একটি ভবনের নির্মাণ কাজের জন্য মাঠে মাটি খননের সময় মরদেহটি উদ্ধার হয়। ভেকু (এক্সকেভেটর) দিয়ে মাটি কাটার সময় মাটির নিচ থেকে সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহটি বেরিয়ে আসে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং মরদেহটি তুলে আনেন। পরে স্থানীয় আলেমদের পরামর্শে মরদেহটি ফকিরেরহাট এলাকার মসজিদের পাশের কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মৃত ব্যক্তির নাম বাহের আলী। তিনি খারুয়ারপাড় গ্রামের আতিম শেখের ছেলে। আতিম শেখ ছিলেন মাদরাসার জমি দাতা এবং নিজেও দীর্ঘদিন ওই মাদরাসার দপ্তরির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর মাদরাসার পেছনে তাকে দাফন করা হয়েছিল।
ইসলামী শাস্ত্র ও নবী-রাসূলদের ঘটনা থেকে জানা যায়, যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা বা শহীদ হন, তাদের মরদেহ অক্ষত থাকতে পারে। এ ঘটনাটি আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। তবে কেবল মরদেহ অক্ষত থাকলেই তিনি প্রিয় বান্দা—এমনটি নিশ্চিত বলা যায় না। সবকিছু আল্লাহই ভালো জানেন।