প্রতিবেদক: মাহফুজুর রহমান,
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের শিমুলগাঁও থেকে পাইকপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২৩০০ মিটার দীর্ঘ সড়কটিতে হাঁটতে হচ্ছে কাদা মাড়িয়ে। সরকারি বরাদ্দে প্রায় ২ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ চললেও বাস্তবতা বলছে—এই সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী কাদা-পানির পথ।
বৃষ্টিপাত শুরু হতেই সড়কটি কাদায় পরিণত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগী, রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষ। আশেপাশের প্রায় ৪০-৫০টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন এই সড়ক দিয়ে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে ভাঙা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করলেও এখন দুর্ভোগ যেন সীমা ছাড়িয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এলজিইডির আওতায় ২ কোটি ৮ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পায়। কাজ শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয় ১৭ মার্চ ২০২৫। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের মাঝপথে এসেও কাজ শেষ হয়নি, এমনকি এখনো সঠিকভাবে কাজ শুরুর প্রস্তুতিও চোখে পড়ে না।
স্থানীয় এক কলেজছাত্র বলেন,
"প্রতিদিন কাদা মাড়িয়ে কলেজে যাই। অনেক সময় পড়ে গিয়ে বই-খাতা নষ্ট হয়। বাইক-রিকশাও চলে না ঠিকমতো। এই দুর্ভোগ কবে শেষ হবে জানি না!"
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তারা দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াত হয়। তাই দ্রুত কাজ শেষ না হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।
সড়ক উন্নয়নের নামে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে তার সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই কাদা যেন থেকে যাবে শুধুই দুর্ভোগের প্রতীক।