ফারুকুর রহমান বিনজু পটিয়া( চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ফকির পাড়া কথা কচুয়াই গ্রামে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এক দল ডাকাত, ডাকাতি করে পালাতে গিয়ে লোহাগড়া থানার পুলিশ ৪ডাকাত সদস্য কে আটক করে।
গত বৃহস্পতিবার( ১৯শে জুন)রাত ৩টায় উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ফকির পাড়ায় ১০/১২জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মো:রহিম, মোঃ কামাল,বাদশা,আবু ফয়েজ দিদার, সাদ্দাম করিম,ও সেলিমের ঘরে ঢুকে নগদ ১১লাখ টাকা, ৬ভরি স্বর্ণলংকার,৮টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
ডাকাত দল ডাকাতি করে পিক-আপ ভ্যানে কক্সবাজার দিকে যাবার খবর পেয়ে পটিয়া থানার পুলিশ, লোহাগড়া থানাকে জানিয়ে দেয়।চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি বনবিভাগের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করলে ৪জন ডাকাত সদস্য ধরা পড়েন পুলিশের কাছে। বাকিরা পালিয়ে যায়।
এরা হলেন,আবুল কাসেম ওরফে জামাই কাসেম, পশ্চিম কাথারিয়া,বাঁশখালী,চট্টগ্রাম। চকরিয়া ফুলতলার ছাদেকুর রহমান,চকরিয়ার বাজার পাড়ার কামাল ও কক্সবাজার পূর্ব বড় ভেওলার কেফায়েত হোসেন।
তাদের কাছ থেকে ২টি দেশিয় তৈরি ১নলা বন্দুক, ৪রাউন্ড ১২বোর গুলি, ১টি রামদা, চাকু,টিপছুরি,শাবল,কাঁচি, টর্চ,নগদ ১৬হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহ্যত পিকআপ ভ্যান,ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।ঘটনা স্হল হতে পটিয়া থানার পুলিশ ১টি মোবাইল সেট, ১টি মানকি টুপি, ও ১টি কালো ব্যাগ উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাসেল বলেন আটককৃত ডাকাতরা পটিয়ায় ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করেন।এ ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা ও লোহাগড়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়।তিনি বলেন ডাকাত জামাই কাসেম
এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় একাধিক অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা আছে। কামালের বিরুদ্ধে ও চুরির মামলা আছে। পলাতক সদস্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।