আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ- সকলের অংশগ্রহণ ও আলোচনার ভিত্তিত্বে অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ফৌজদারী ও দেওয়ানী উভয় মামলা করার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে খুব সহজেই মামলার নিষ্পত্তি করা যায়। এছাড়া গ্রাম আদালতের সুযোগ সুবিধা আপোষ মীমাংসা ও ছোট-বড় বিরোধ নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে সমাজের সকল শ্রেণি মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহিদ এ.কে.শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত প্রক্রিয়করণ- ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশগ্রহনে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) গনপতি রায় এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস্) জিয়াউর রহমান।
বক্তারা বলেন, গ্রাম আদালতের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। সাধারণ মানুষ গ্রাম আদালতে সঠিক বিচার যাতে পাই সেদিক লক্ষ্য রাখতে হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম অতি দ্রুত হয় সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ব্যাপক ভূমিকা রাখতে হবে। গ্রাম আদালতে সাধারণ মানুষ বিচার না পাওয়াতে আদালতের দারস্ত হয়। এতে করে মামলা দিনে দিনে প্রচুর আকারে বাড়ছে যা বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা। গ্রাম আদালত কার্যক্রমকে সক্রিয় রাখতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে করে অতি সহজেই গ্রামের ছোটখাটো বিরোধ ইউনিয়ন পর্যায়ে নিষ্পতি করা সম্ভব।
এ সময়ে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা, গ্রাম আদালতের জেলা অর্ডিনেটর মোঃ আব্দুল হান্নান, এনজিও ফোরাম সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এবং সুক এনজিওর পরিচালক আনোয়ার হোসেন, এমডিও সংস্থা'র নির্বাহী পরিচালক মাছউদ আহমেদ রোকনী। জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আলী, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী মোঃ রইস উদ্দিন প্রমুখ ।
এ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গ্রাম আদালতের প্রোগ্রামার কাওসার জামান সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।