
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ওয়ারিশ সনদ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে জীবিত প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা আশালতা হালদার (৬৫)। তার এক ছেলে সত্যজিৎ এবং দুই মেয়ে মুক্তি ও মমতা। কিন্তু ছেলে সত্যজিৎ সম্পত্তি আত্মসাতের লোভে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে কৌশলে ম্যানেজ করে জীবিত মাকে মৃত দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করেন।
গত ৩১ মে, স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের সুপারিশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস আলী মোড়ল স্বাক্ষরিত ৩৩৬/২০২৫ নং স্মারকের মাধ্যমে এই ওয়ারিশ সনদটি সত্যজিৎ এর নামে ইস্যু করা হয়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে গত ২০ জুন স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে এক সালিশি বৈঠকে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলে জানান এলাকাবাসী।
সর্বশেষ, শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে আশালতা হালদার নিজেকে জীবিত প্রমাণে স্থানীয় মালোপাড়া দুর্গা মণ্ডপে স্বশরীরে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি মিথ্যা ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। আশালতা জানান, “আমার ছেলে সত্যজিৎ সম্পূর্ণ হীন মানসিকতা থেকে আমার বসতবাড়ি ও সম্পত্তি আত্মসাতের জন্যই এমন কাজ করেছে।”
এদিকে তার দুই মেয়ে মুক্তি সরকার, মমতা বিশ্বাস ও জামাই ঠাকুর দাস বিশ্বাসসহ স্থানীয়রা জানান, সালিশের পর থেকে সত্যজিৎ বাড়িতে তালা দিয়ে পলাতক রয়েছে। ফলে আশালতা নিজের ঘরে ঠাঁই না পেয়ে অন্যের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে কপিলমুনির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস আলী মোড়ল আত্মগোপনে থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “এটি আমার ভুল হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, “ঘটনাটি এখনো আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”