ফারুকুর রহমান বিনজু পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সদরের উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নার্স নুরতাজ বেগম ডাক্তার সেজে প্রেসক্রেপশন দিয়ে রোগীদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রোগীগণ।
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে
ঘটনার শিকার শিরিন আক্তার জানান, কিছুদিন আগে পটিয়া হাসপাতালের গাইনি বি়ভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে নার্স নুরতাজ বেগম আমকে ১১১নং রুমে নিয়ে প্রেসক্রিপশন লিখে প্রশ্রাব টেস্ট দিয়ে নগদ ৩৪০০টাকা নিয়ে নেন।তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ডাক্তার পরিচয় দেন।এর পরের দিন (মঙ্গলবার)গেলে তিনি আবারও টাকা দাবি করেন। এর বিরুদ্ধে অনেক রোগী অভিযোগ করেন।ডাক্তার না থাকার সুযোগে তিনি অসহায় রোগীদের কাছে ডাক্তার সেজে প্রেসক্রিপশন লিখে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
হাসপাতালে কর্মরত নার্সগণ ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তাকে বারণ করা সত্বেও তিনি রোগীদের সাথে প্রতরণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়।বেশি কিছু বললে,সে আমাদেরকে ভয় ভীতি দেখায়।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, এমবিবিএস ডিগ্রিধারী না হওয়া এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অভিজ্ঞতার সনদ না থাকা সত্ত্বে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্পূর্ণ বেআইনি, অবৈধ, ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার আবু তৈয়ব বলেন, হাসপাতালে সাপ্তাহে ৬দিন গাইনি ডাক্তার থাকেন।এরপর ও কেউ যদি অবৈধ ভাবে রোগী দেখে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নার্স নুরতাজ বেগম বলেন, ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে আমি চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি।এদিকে সচেতন মহল তার প্রতরণা মুলক চিকিৎসা সেবা ও অবৈধ অর্থ আদায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং রোগীদের হয়রানি হতে মুক্তি পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধতন কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।