
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গোড়াই শ্যামপুর এলাকায় এই সংঘর্ষ ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রফিকুল ও শফিকুলের সঙ্গে আব্দুল হামিদের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ জায়গায় টিনের ঘর নির্মাণ করতে গেলে প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালায়।
রাশিদা বেগম ও আব্দুল হামিদ অভিযোগ করেন, “আমরা নিজেদের জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ করছিলাম। এ সময় প্রতিপক্ষ হঠাৎ বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে আমাদের উপর হামলা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও কিছুক্ষণ পর চলে যায়। তাদের চলে যাওয়ার পরপরই আবারও হামলা শুরু হয়।”
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—নুর হোসেন (৬০), আসাদুল (৩০), কুদ্দুস (৫০), ফারুক হোসেন (৩৬), আব্দুল হামিদ (৬০) সহ আরও অনেকে।
স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী পরিবারের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন তারা।
ফারুক হোসেন বলেন, “আমরা নিরীহ মানুষ, কারও সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। বারবার আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। আমাদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অবগত আছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।