সাঘাটা(গাইবান্ধা) নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাঘাটা উপজেলার সাধারণ মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থল সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিনই উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে ছোট-বড় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কিন্তু এই কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে ওষুধ সংকটে পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
হাসপাতাল ঘুরে ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসা নিতে আসা বেশিরভাগ রোগীকেই প্রয়োজনীয় ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এটি মারাত্মক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় দামি ওষুধ কিনে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী জোসনা বেগম বলেন, “গ্যাস, ইনজেকশন বাহির হতে কিনছি। শুধু নাপা ট্যাবলেট দেয়। তাহলে আমরা গরীব মানুষ কি জন্য উঠছি?” পেটের ব্যথায় ভর্তি হওয়া রোগী নূরী বেগমের মা শিউলি খাতুন জানান, “হাসপাতাল থেকে একটা সুই দিছে আর একটা ট্যাবলেট দিছে। বাকি সব বাহিরে থেকে কিনতে হচ্ছে।” স্ত্রী ফরিদাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা এক দিনমজুর জানান, “সব ওষুধ বাহিরে থেকে কিনেছি। একটাও দেয়নি হাসপাতালে।”
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগীর স্বজন জানান, সকাল ৮-৯টায় ভর্তি করা হলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, প্রায় ছয়-সাত মাস ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগের জন্য প্রয়োজনীয় স্যালাইনের সংকট চলছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, “পূর্বের বাজেট অনুযায়ী রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ সংকট রয়েছে হাসপাতালে। তবে নতুন বাজেট বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন ওষুধ আসলে এই সমস্যা থাকবে না।”
স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম মৌলিক উপাদান ওষুধের এই সংকটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।