আখতারুজ্জামান আসিফ ,চিলমারী (কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি)ঃ উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রশাসনের উদাসীনতার কারনে চিলমারী কুড়িগ্রাম বাইপাস সড়কের রাজারঘাট এলাকায় পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলায় প্রায় ৬ মাস যাবৎ ভারী যান বাহন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন হাজারও মানুষ। হাটবাজার,অফিস-আদালত,স্কুল-কলেজ,হাসপাতাল সহ জরুরি যাতায়াতে প্রতিনিয়ত প্রায় ২০ কি.মি. রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ,শিক্ষার্থী ও রোগীরা যাতায়াতে অবর্ণনীয় কষ্টে পড়েছেন। উপজেলা সদর থেকে জরুরি পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন চরম বিপাকে । চিলমারী সদরের মাটিকাটা মোড়ের তেলের পাম্প হতে এই সড়কটি ফকিরের হাট, রানীগঞ্জ, চৌমহনী , মন্ডলের হাট, অন্তপুর ,হাতিয়া ,মোগলবাসা হয়ে কুড়িগ্রাম সদরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই সড়ক পথে প্রতিদিন শত শত ট্রাক সিএনজি অটোরিক্সা ও মটর সাইকেল ইত্যাদি যানবাহনে পরিবহন জনগন নিরাপদ মনে করে যাতায়াত করে। পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলে বিকল্প চলাচলের জন্য একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সংকীর্ণ হওয়ায় প্রতিদিন অটোরিক্সা,বাইসাইকেল ও মটোর সাইকেল আরোহীদের দূর্ঘটনার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। থানাহাট ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডে রাধাবল্লভের রাজার ঘাট নামক স্থানে ৪১ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই ব্রীজটি পুরাতন হলেও বিভিন্ন ধরনের মাঝারি ধরনের যানবাহন নির্বিঘেœ চলাচল করত। স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল জানান, দুই পার্শের সংযোগ রাস্তার মাটি সরে গিয়ে রাস্তাটি সংকীর্ন হয়েছিল মাত্র। তা ভেঙ্গে না দিলেও চিলমারী-কুড়িগ্রাম বাইপাস সড়কটি দিয়ে এ পর্যন্ত চলাচল অব্যাহত থাকত। উপজেলা প্রকৌশলি অফিস সূত্রে জানা যায়,বিগত ১৫/১০/২০২৪ ইং তারিখে মের্সাস বসুন্ধরা ও মের্সাস খাইরুল এন্টারপ্রাইজকে যৌথভাবে কাজের অনুমতি প্রদান করা হলেও তারা কাজটি শুরু করেনি । ৫ আগষ্টের পর প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ায় প্রায় ৬ মাস আগে পুরাতন ব্রীজটি এলজিইডি এর পক্ষ থেকে নিলামে দেওয়া হয় । কিন্তু ব্রীজ এর নির্মাণ কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নির্মাণ কাজে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি মর্মে এলাকাবাসিরা অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাবেক মেম্বার লাল মিয়া জানান,আমাদের এলাকার খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলায় এলাকাবাসি বর্তমানে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে অবহিত করে উক্ত ব্রীজটি নির্মাণের জোরালো দাবি তুলেছেন এলাকাবাসি। উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান , আগামী ১৪/০৪/২০২৬ইং তারিখের মধ্যে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।