ফারুকুর রহমান বিনজু পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা কুসুমপুরা ইউনিয়ন মনসা ফোরক সও: বাড়ির ছগির আহমদের ছেলে নুরুল আলম সুমন (৩৩)কে আপন চাচাতো ভাই তাজুল, অপহরণ করতে গিয়ে জনগণের কাছে ধরা পড়ে ৪ অপহরণকারী।
ঘটনাটি ঘটে গত ৯সেপ্টেম্বর(মঙ্গলবার)রাত সাড়ে ১০টায়।উপজেলার শান্তিরহাটে অপসরী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে।অপহৃত যুবক নুর আলম সুমনের বড় ভাই দিদারুল আলম জানান,রাত ১০টায় আমার ছোট ভাই সুমন ঔষধ আনতে মনসাটেক গেলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা আমার চাচাত ভাই তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩/৪ জন যুবক ছুরির ভয় দেখিয়ে আমার ভাইকে সিএনজিতে তুলে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যায়।
সিএনজিটি শান্তিরহাটে পৌঁছলে আমার ভাই ডাকাত বলে চিৎকার দিলে স্হানীয়রা সিএনজিটি আটক করে অপহরণকারীর ৪ সদস্য কে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।মুল আসামি তাজুল কৌশলে পালিয়ে যায়।
সুমনের ভাই দিদারুল আলম ১০ই সেপ্টেম্বর(বুধবার)বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।আসামিরা হলেন ১/তাজুল ইসলাম(৩২) কুসুম পুরা ইউনিয়ন ফোরক সও:বাড়ি, পটিয়া, চট্টগ্রাম। ২/মো:নবী হোসেন(৩১)তিতাস থানা,কুমিল্লা। ৩/মো: নাদিম(২৫)সল্টগোলা ক্রসিং,চট্টগ্রাম নগরী,৪/প্রিন্স হাওলাদার (২৯)বাগেরহাট খুলনা, ৫/মো:সাফায়েত উল্লাহ (২৬)পটিয়া পৌরসভা গৌবিন্দারখীল,পটিয়া, চট্টগ্রাম। পুলিশ এদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ও একটি ছুরি উদ্ধার করে।
পটিয়া থানার ওসি মোঃ নুরুজ্জামান বলেন,থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়। উক্ত মামলায় ৪জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।সুমন ও তাজুল সম্পর্কে চাচাতো ভাই।সুমন,তাজুলের চেক চুরি করে। তা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাজুল অপহরণের ঘটনাটি ঘটান।সুমনের বিরুদ্ধে চুরি ও বিভিন্ন অপরাধের মামলার অভিযোগ রয়েছে।