আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:- ২০২৪ খ্রিঃ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহিদ মীর মাহফুজুর রহমানের (মুগ্ধ) এর জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) সিরাজগঞ্জে যাত্রা বিরতীকালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি তার বক্তব্য বলেন, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এঁর নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা চিরতরে বিলুপ্ত হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা একজন খুনি, তিনি আমার ভাই মীর মুগ্ধসহ দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। ২০'হাজার মানুষকে আহত করেছেন। খুনি হাসিনার বিচার এ দেশের মাটিতেই হতে হবে। হাসিনার গুম-খুন ও জুলুমের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা । বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খুনি হাসিনার প্রতিটি গুম, খুন হত্যার বিচার হবে।’
সোমবার (১০নভেম্বর-২০২৫খ্রিঃ) বিকেলে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ বগুড়ায় এক জনসভা যোগদান শেষে ঢাকায় যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জে সন্ধ্যায় যাত্রা বিরতী করে- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়নের বনবাড়ীয়া কাদাইয়ে অবস্থিত ছোঁয়ামনী গার্ডেন প্যালেস রিসোর্ট ও পার্কের কনফারেন্স কক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে-এক মতবিনিময় সভা তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন।
এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সুযোগ্য প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনতার মেয়র মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু। জানা যায় যে, সম্প্রতিতে মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) তিনি বিএনপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদানের পর এই প্রথম সিরাজগঞ্জে বিএনপি'র নেতৃবৃন্দ, মহিলাদল নেতৃবৃন্দ, যুবদল,ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, স্কাউট সদস্য, ছাত্র প্রতিনিধি সহ অন্যান্যদের নিয়ে মতবিনিময় সভা এবং দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসময়ে তাকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এমতবিনিময় সভায়-মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকেই বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপষহীনতা নীতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই বিএনপির সঙ্গে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শহিদ মুগ্ধকে হত্যার পর খুনি হাসিনা ব্ল্যাংক চেকের অফার করেছিলেন। ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করেছি। খুনির সঙ্গে আপস করিনি। এসময়ে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ভূঁইয়া, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কাদের সেখ, আনিসুজ্জামান পাপ্পু, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ, সহ দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক শেখ এনামুল হক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এম. দুলাল উদ্দীন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজেশ, সহ- প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম খান, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক রেজাউল জোয়ার্দার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম কারেন্ট, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলামিন খান এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম সেরাজ, জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম.এ ওয়াহাব, জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন হাসি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেরী, সাধারণ সম্পাদক এলেমা বেগম,সাংগঠনিক সম্পাদক জোৎস্না মন্ডল সহ অন্যান্য নারীনেত্রী এবং বিএনপি বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।