স্টাফ রিপোর্টার বগুড়াঃ- স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক পুনর্বিন্যাস এর উপর সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এম-ট্যাব) আঞ্চলিক জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, তরুণ উদীয়মান সাবেক ছাত্র নেতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সমাজসেবক মোঃ আরমান হোসেন ডলার। তার বক্তব্য নিম্নে তুলে ধরা হলো...
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে আগামী ২৫শে ডিসেম্বর মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান। এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে আবেগ, প্রত্যাশা ও নতুন আশার সঞ্চার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এটি কেবল একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে ফেরা নয়; বরং দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে পড়া রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভেতরে নতুন সমীকরণ ও পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত বহন করে।
বাংলাদেশের রাজনীতি দীর্ঘ সময় ধরে একতরফা ক্ষমতা কাঠামো, দুর্বল বিরোধী রাজনীতি ও সীমিত অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। এই প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিরোধী রাজনীতিকে সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে চাঙা করতে পারে। বাস্তবতা হলো—কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল অপরিহার্য, আর সেই বিরোধী শক্তিকে মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা তারেক রহমানের রয়েছে—এমন বিশ্বাস বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সুস্পষ্ট।
তবে এখানে একটি বড় প্রশ্নও উঠে আসে। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন কি কেবল রাজনৈতিক আবেগের পুনর্জাগরণে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি এটি গণতান্ত্রিক চর্চায় গুণগত পরিবর্তন আনতে পারবে? রাজনীতির ইতিহাস বলে, প্রত্যাবর্তন তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা সহনশীলতা, সংলাপ ও সাংবিধানিক কাঠামোর ভেতরে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে শক্তিশালী করে।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আজ এমন এক পর্যায়ে, যেখানে সংঘাত নয়—বরং আস্থার রাজনীতি প্রয়োজন। এই বাস্তবতায় তারেক রহমানের ভূমিকা হবে পরীক্ষার মুখে। তিনি যদি দলকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক, নীতিনির্ভর ও গণমুখী রাজনীতির পথে এগিয়ে নিতে পারেন, তবে তার প্রত্যাবর্তন কেবল বিএনপির নয়—জাতীয় রাজনীতির জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।
“১৭ বছরের দীর্ঘ নির্বাসন ছিল শুধু একজন নেতার ব্যক্তিগত কষ্ট নয়, এটি ছিল গণতন্ত্রকামী জনগণের বঞ্চনার ইতিহাস। আজ তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন মানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে আরেকটি দৃঢ় অগ্রযাত্রা।”
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সবসময়ই জনগণের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে সংগ্রাম করে আসছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে তার আপসহীন অবস্থানই তাকে জনগণের প্রকৃত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বক্তব্যে তিনি বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই ঐতিহাসিক দিনে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়, দলীয় শৃঙ্খলা ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারেক রহমানের আদর্শ ও নির্দেশনাকে ধারণ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সফল পরিণতির দিকে এগিয়ে নিতে হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার পথে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
শেষে মোঃ আরমান হোসেন ডলার বলেন, “২৫শে ডিসেম্বর শুধু একটি তারিখ নয়—এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক। এই দিনটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও নেতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে।”