• রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মোল্লাহাটে একতা যুব সংঘের উদ্যোগে মশা নিধন কার্যক্রম, এলাকাবাসীর প্রশংসা বগুড়ার ধুনটে তিন দিনব্যাপী মহানাম যজ্ঞ ও অষ্টকালীন লীলা রাস কীর্তন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক পুনর্বিন্যাস — সাবেক ছাত্র নেতা আরমান হোসেন ডলার শক্তিশালী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (B.C.P.C)। শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ, দুপুরে জানাজা নরসিংদীর শিবপুরে পরিবহনে মোবাইল কোর্ট অভিযান চলমান থাকবে সিরাজগঞ্জে জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায়  ভলিবল প্রতিযোগিতা -২০২৫ এর  পুরস্কার ও ট্রফি বিতরণ  সম্পন্ন  বরিশালের চরকাউয়া নয়ানীতে নারী নিখোঁজ, থানায় জিডি মির্জাপুরে অবৈধ কয়লা চুল্লি: জনজীবন ও পরিবেশের জন্য হুমকি। সাজাপুর ফুলতলা সমাজ উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে সর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩টি থানা আকস্মিক পরিদর্শন করলেন নরসিংদী পুলিশ সুপার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জর্দা উৎপাদন, রায়গঞ্জে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের অভিযান রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত সোনালী ব্যাংক ও জিয়া পরিষদের উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে মহান বিজয় দিবস পালন সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বনভোজন ও মিলনমেলা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লাপাড়া কৃষি অফিসের উদ্যোগে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানবীজ কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে বিতরণ  সিরাজগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  শাজাহানপুরে জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত: প্রধান অতিথি সৌরভ হাসান শিবলু

লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে পাট চাষ,পাঁচ বছরে কমেছে ৭০ ভাগ জমির পাট চাষ

দৈনিক ঢাকা মেইল - DAILY DHAKA MAIL / ১২৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

সোহাগ হোসেন শান্ত
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি :

এক সময় সোনালী আঁশ খ্যাত পাট ছিল উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম আয়ের উৎস। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত এই ফসল। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া, কৃষি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দিন দিন বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পাট চাষ। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না সবুজ পাটক্ষেত।

পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষক মো. রমিজ উদ্দিন বলেন,

“পাট চাষে আগে যা লাভ হতো, এখন আর হয় না। সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ—সব কিছুর দাম বেড়েছে। অথচ বাজারে ন্যায্য দাম পাই না। তাই বাধ্য হয়ে ধান কিংবা ভুট্টার দিকে ঝুঁকছি।”

একই সুর আরেক কৃষক আফতাবুর রহমানের কণ্ঠেও। তিনি জানান,
“আগে পাঁচ বিঘা জমিতে পাট করতাম, এখন করি মাত্র এক বিঘায়। শুধু ঐতিহ্যটা ধরে রাখার জন্য করি। লাভ তো নেই।”

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী,
২০১৮ সালে উপজেলায় প্রায় ৩,০০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে তা নেমে এসেছে মাত্র ৮৭০ হেক্টরে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রায় ৭০ শতাংশ জমিতে আর পাট চাষ হচ্ছে না।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন
“পাট চাষে লাভজনকতা কমে যাওয়ায় কৃষকের আগ্রহ কমেছে। এছাড়া পাট কাটার পর জাগ দেওয়ার জায়গা ও শ্রমিক সংকটও বড় সমস্যা।”

তিনি আরও বলেন,
“সরকার পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এতে কিছুটা বাজার চাঙা হচ্ছে। আমরা কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি, আশা করি আগামীতেও চাষ বৃদ্ধি পাবে।


এই বিভাগের আরও খবর

BROWSE BY TAG

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com