নিউজ ডেস্ক:
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলাধীন হাতিয়া ইউনিয়নের বৃহত্তর ২ নং ওয়ার্ডের কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণসহ, দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য সহকারী ও যুবলীগ নেতা আব্দুল ওহাব শাহ বিরুদ্ধে ।
জানা যায়, ওই স্বাস্থ্য সহকারী প্রাথমিকভাবে পশু চিকিৎসা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের হাতিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কালীন ২০১০ সালে প্রভাব খাটিয়ে বাগিয়ে নেয় স্বাস্থ্য সহকারী পদে সরকারি চাকরি। সরকারি চাকরিরত অবস্থায় নিজ ওয়ার্ডের পদায়ন নিয়ে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপকর্মে। দলীয় প্রভাবে হয়ে যান বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক।
গত ২০-০৫ ২০২৫ ইং তারিখে আওয়ামী পন্থী কর্মকর্তাদের যোকসাজসে সিনিয়র সহকর্মী দের ডিঙিয়ে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পদটি।
তার দলীয় প্রভাব রেহাই পায়নি
ব্রহ্মপুত্রের নদের তীরের নিরোহ মৎস্যজীবী ও গরীব দুখি মানুষও।
তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আবুল হোসেন সহ জোরপূর্ব বিভিন্ন জায়গায় চলে দখল বাণিজ্য। দখল বাণিজ্য করতে গিয়ে ২০১৪ সালে এসিড নিক্ষেপ মামলায় ৬ মাস জেল হাজতে থাকতে হয় এই স্বাস্থ্য সহকারীকে।জেল হাজতে থাকাকালীন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোন প্রকার সাময়িক বরখাস্ত কিংবা শোকজ পর্যন্ত করা হয়নি। স্বাস্থ্য সহকারীর নেতৃত্বে ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর সাবেক এমপি মতিনের পক্ষ নিয়ে বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল এন্ড কলেজ ভোট সেন্টার দখল করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জাল ভোট প্রদান করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভোট ছিনতাই ও জোরপূর্বক ভোট প্রদান করার বিষয়টি জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে স্মারক নং০৫.৪৭.৪৯০০.০১৬.২৭.০০৩.১৮.৭২ তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫ ইং স্বাক্ষরিত অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উলিপুর কুড়িগ্রাম বরাবর প্রেরণ করেন। যাহা চলমান আছে।
হাতিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মোঃআফজাল হোসেন জানান, সরকারি কর্মচারী হয়েও ভোট প্রচারে সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়টি তৎকালীন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় উঠে আসলেও স্বাস্থ্য বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করেছিলেন ও সেই সুযোগে নিজ ওয়ার্ডে কর্মস্থল হওয়ার সুবিধার্থে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দা কৌশল করে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকেন নতুবা বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকেন যা দুঃখজনক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হারুন অর রশিদ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।