মো:মাহফুজুর রহমান
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গর্ভবতী এক নারীকে নির্মমভাবে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মতে, যৌতুকের দাবিতে ওই নারীর ওপর চালানো হয় পৈশাচিক হামলা—যার মধ্যে ছিল পেটে লাথি মারার মতো বর্বরতা।
ভুক্তভোগী রিতু , মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিউল শেখের মেয়ে। স্বামী সাজ্জাদ খান, দক্ষিণ ফুকরা আমবাড়ী গ্রামের টেপু খানের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই রিতুর ওপর চলছিল লাগাতার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। সম্প্রতি যৌতুক নিয়ে বিরোধের জেরে শাশুড়ি, ননদ মিলে রিতুকে বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ রয়েছে, এসময় তারা রিতুর পেটে লাথিও মারে—যা শুধু একজন গর্ভবতীর জন্য নয়, মানবতার জন্যও এক জঘন্যতম অপরাধ।
নির্যাতনের পর গুরুতর অবস্থায় রিতুকে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
রিতুর পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার পর তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।