মোঃ বিল্লাল হোসেন বাবু : ভারতের প্রতিভাবান শিশু শিল্পী অতনু মিশ্র শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে ভারত, বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল সনাতন ধর্মালম্বিসহ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে Zee Bangla-এর জনপ্রিয় সঙ্গীত রিয়েলিটি শো “Sa Re Ga Ma Pa ২০২৪–২৫”–এর জুনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই খুদে শিল্পী পশ্চিমবঙ্গের কাঁথির বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতচর্চা শুরু করা অতনু তার অসাধারণ গায়কী ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই একটি শক্তিশালী পরিচয় তৈরি করেছেন। অতনুর শ্রদ্ধেয় গুরু সীমন্ত সরকার ছিলেন তাঁর সঙ্গীত জীবনের পথপ্রদর্শক। গুরু হিসেবে সীমন্ত সরকার অতনু ও দেনাশিনী উভয়েরই শিক্ষাগুরু ছিলেন। জি বাংলা সারেগামাপা ২০২২-২০২৩-এর বিজয়ী অতনু মিশ্রের গুরু ছিলেন অরিজিৎ দত্ত। জানা যায়, মাত্র পাঁচ বছর বয়সে অতনু গানের পাঠ শুরু করেন। প্রথমে বাড়ির কাছের সঙ্গীত শিক্ষকের কাছে তিনি শেখেন, পরে ভর্তি হন “ললিতকলা” নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। সেখানে সীমন্ত সরকারের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত সঙ্গীতচর্চা করেন। অতনু এর আগে Zee Bangla-র আরেকটি জনপ্রিয় শো “Sa Re Ga Ma Pa Li’l Champs”-এ অংশ নিয়ে ৩য় রানার-আপ হন। সেখানে তার অনবদ্য গায়কী সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। এরপর তিনি আবারও তার প্রতিভা প্রমাণ করেছেন এবং জুনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সঙ্গীত জগতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। অতনু মিশ্র বার্তায় বলেন, শারদীয় দুর্গাপুজা আমাদের সংস্কৃতি, ঐক্য ও আনন্দের প্রতীক। এই পবিত্র সময়ে দুর্গা মা যেন আমাদের জীবন থেকে অশুভ শক্তি দূর করে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনেন। সবাই যেন এই উৎসবকে আনন্দ, সততা ও সামাজিক দায়িত্ববোধের সঙ্গে উদযাপন করেন। তিনি আরও বলেন, পুজার আনন্দ ও শুভেচ্ছার পরিবেশ আমাদের জীবনে মানসিক শান্তি এবং একে অপরের প্রতি সহযোগিতার বার্তা নিয়ে আসে। আশা করি, সারা বছর এই আনন্দ ও ঐক্যের প্রেরণা আমাদের সঙ্গে থাকবে। স্থানীয়রা মুঠোফোনে জানিয়েছেন, “অতনুর মতো শিশু শিল্পীর বার্তা আমাদের সবাইকে উৎসবের আসল অর্থ—ঐক্য, আনন্দ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা—মনে করিয়ে দেয়।” বিশেষজ্ঞরা বলেন, তার প্রতিভা ও সামাজিক বার্তা প্রমাণ করে, বয়স কেবল সংখ্যা; প্রতিভা ও সচেতনতা থাকলেই শিশু হলেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব। শারদীয় দুর্গাপুজার এই শুভ মুহূর্তে অতনু মিশ্রের বার্তা ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে আনন্দ, শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা ছড়িয়ে দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।