চিলমারী কুড়িগ্রাম- কুড়িগ্রামের জেলার চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ীহাট ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের PEDP-4 প্রকল্পের সীমানা প্রাচীর ও প্রধান গেট নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়া, সিমেন্ট ও রড ইত্যাদি সামগ্রী ব্যবহিত হওয়ায় এলাকাবাসী কাজের শুরু থেকেবাধা প্রদান করে আসছিলো, কিন্তু নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাইরুল এন্টারপ্রাইজ উক্ত কাজের জন্য স্থানীয় জনৈক ওরায়েছ আলীকে দিয়ে স্থানীর প্রভাব খাটিয়ে তার নিজ ভাটার ইট, খোয়া দিয়ে সীমানা প্রাচীরের পিলার, বীম তৈরী ও গাথুনি কাজে সিমেন্ট এর চেয়ে বালুর পরিমান বেশি দিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে এসেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, প্রধান শিক্ষণ সহ এলাকাবাসীর কোনো অভিযোগ তোয়াক্কা না করে কাজ করেন এবং এলাকাবাসীকে চাঁদাবাজীর অভিযোগের ভয়দেখিয়ে মামলা করার হুমকি দেন। প্রধান শিক্ষক আরো অভিযোগ করেন, দেয়ালটি স্কুলের জমির প্রায় ৫ ফিট ভেতর দিয়ে কাজ করার কারনে প্রায় ৪ শতক জায়গা বেদখল হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং উপজেলা প্রসাশনকে বিষয়টি অবহিত করলে উপজলো নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয়টি নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গেলে স্কুলের প্রধান গেট ও সীমানার প্রাচীরের অনিয়নগুলো দেখতে পান এবং কাজটি বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন।
অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশলী নিজের গাফিলতিকে ঢাকার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাইরুল এন্টারপ্রাইজকে গত ১৭/৭/-২০২৫ কাজের ত্রুটিপূর্ন কাজ অবহিত করার চিঠি প্রদান। অথচ ১৭-২০ জুলাই পযন্ত কাজটি পুরোদমে কাজটি কিভাবে চালিয়ে গেলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসাস খাইরুল এন্টারপ্রাইজ। অসমর্থিত সূত্রে জানা যায় কথিত ওয়ারেছ আলী অত্র উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুলের কাজ করে আসছেন।
ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস খাইরুল এন্টারপ্রাইজ এর সংগে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। উল্ল্য
এবিষয়ে ওয়ারেছ আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
উপজেলা সাব এসিসটেন্ট এ প্রতিনিধিকে জানান আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করার পরও অফিসকে তোয়াক্কা না করে তারা কাজ চালিয়ে আসছিলেন।