• রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মোল্লাহাটে একতা যুব সংঘের উদ্যোগে মশা নিধন কার্যক্রম, এলাকাবাসীর প্রশংসা বগুড়ার ধুনটে তিন দিনব্যাপী মহানাম যজ্ঞ ও অষ্টকালীন লীলা রাস কীর্তন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক পুনর্বিন্যাস — সাবেক ছাত্র নেতা আরমান হোসেন ডলার শক্তিশালী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (B.C.P.C)। শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ, দুপুরে জানাজা নরসিংদীর শিবপুরে পরিবহনে মোবাইল কোর্ট অভিযান চলমান থাকবে সিরাজগঞ্জে জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায়  ভলিবল প্রতিযোগিতা -২০২৫ এর  পুরস্কার ও ট্রফি বিতরণ  সম্পন্ন  বরিশালের চরকাউয়া নয়ানীতে নারী নিখোঁজ, থানায় জিডি মির্জাপুরে অবৈধ কয়লা চুল্লি: জনজীবন ও পরিবেশের জন্য হুমকি। সাজাপুর ফুলতলা সমাজ উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে সর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩টি থানা আকস্মিক পরিদর্শন করলেন নরসিংদী পুলিশ সুপার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জর্দা উৎপাদন, রায়গঞ্জে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের অভিযান রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত সোনালী ব্যাংক ও জিয়া পরিষদের উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে মহান বিজয় দিবস পালন সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বনভোজন ও মিলনমেলা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লাপাড়া কৃষি অফিসের উদ্যোগে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানবীজ কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে বিতরণ  সিরাজগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  শাজাহানপুরে জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত: প্রধান অতিথি সৌরভ হাসান শিবলু

ভোরে হোটেল, দুপুরে কলেজ:বাবার হাত ধরেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন কালাইয়ের নাসরিন

দৈনিক ঢাকা মেইল - DAILY DHAKA MAIL / ৯০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

সুকমল চন্দ্র বর্মন (পিমল)
উপজেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈরাগীহাট মোড়ে ছোট্র পরিসরে নাসরিন তার বাবার হোটেলে প্রায় ৬ বছর ধরে খাবার তৈরি এবং হোটেল পরিচালনা করছেন এক মেধাবী শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার (১৮)। ১২ বছর আগে হোটেলটি চালু করেছিলেন তার বাবা মোকাব্বর মন্ডল (৫৫)।

নাসরিন এসএসসি পরীক্ষায় পেয়েছিলেন এ প্লাস। সে বর্তমানে উপজেলার কালাই সরকারি মহিলা ডিগ্রী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। নাসরিন এই হোটেল চালিয়েই সংসার ও পড়াশুনার খরচ চালান। বাবাকে সাহায্য করতেই এই মেধাবী শিক্ষার্থী বাবার সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন খাবার হোটেলটি।
নিজেই তৈরী করছেন পুড়ি, পিয়াজু, সিঙ্গারা, ছামুচা,মোগলাই, চানাচুর। রান্না করছেন ভাত, মাছ,মাংসসহ হরেক রকমের তরকারি। আবার নিজেই করছেন খাবার পরিবেশন।

স্বল্প মূল্যে সু-স্বাদু খাবার পরিবেশন করায় বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রাহকরা ছুটে আসে তার বাবার হোটেলে। খাবার খেতে আসা গ্রাহকরা বলছেন এই হোটেলের খাবার দামে কম মানে ভালো ও সুস্বাদু।
হোটেলে খাবার খেতে আসা ট্রাকচালক হাফিজুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি বগুড়া। সে এই এলাকায় মাঝে মধ্যেই আসে, এই হোটেলে খাইতে আসেন খাবারের মান ভালো, রান্নাটাও অনেক ভালো।

খাবার খেতে মোখলেছুর রহমান, আমির হোসেন, আবুল কাশেমসহ অনেকে জানান, তাদের মাঝে মধ্যে এইদিকে কাজের প্রয়োজনে আসতে হয়। অনেক সময় খাবার দরকার হলে তারা এই হেটেলে বসেন। কারন মেয়ে অনেক শান্ত ও ভদ্র। খাবারের মানও ভাল।
নাসরিন হোটেলের পাশের মুদি দোকানী জিহাদুল ইসলাম বলেন, তাদের হোটেলে আর্থিক সমস্যার কারণে তার কোন কারিগর বা মেসিয়ার রাখতে পারেনা। বিধায় মেয়ে হয়েও সে তার বাবার হোটেলের যাবতীয় সবকিছু তৈরি করেন। সে পড়াশোনা আবার মেধাবী ছাত্রী।

কলেজ শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার জানান, সে মাধ্যমিকে কোন প্রকার প্রাইভেট পড়ে নাই। এখন বর্তমানে কালাই সরকারি মহিলা ডিগ্রী কলেজে এইচ এস সি বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী। সে ভোরবেলায় হোটেলের কাজ করে কলেজে যায়। আবার কলেজ ছুটি দিলে ৩ টার দিকে চলে আসে এবং বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত হোটেলের এসব কাজ করে। অর্থের যোগান দিতে না পাড়ায় মা -বাবার কাজে সাহায্যের জন্য এগুলা কাজ করতে হয় তাকে।

নাসরিন আক্তারের বাবা মোকাব্বর মন্ডল বলেন, আমার মেয়ে কালাই মহিলা কলেজ পড়ে। সকালে হোটেলে কাজ রেখে যায়। আবার কলেজ থেকে ফিরে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত সে কাজ করে। আমি গরিব মানুষ কোন কারিগর রাখতে পারিনাই। আমার মেয়েই সহযোগিতা করেন।

কালাই সরকারি মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন বলেন, সে তার বাবার হোটেলে কাজ করে লেখাপড়া চালায়। মেয়েটা খুব মেধাবী। কলেজের পক্ষে থেকে তাকে সাধ্যেমত সহযোগীতা করা হচ্ছে। আগামী দিনে নাসরিন তার স্বপ্ন পূরণ করবে বলে তিনি আশাবাদ করেন।

এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, বৈরাগীর মোড়ে নাসরিন হোটেলে নাসরিন নামে যে মেয়েটির কথা শুনলাম সে তার পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার সাথে হোটেলে কাজ করছে এটা একটা চমৎকার উদ্যোগ। তবে তার পড়ালেখার যেন ক্ষতি না হয় এই কাজটা করতে যেয়ে। সেজন্য তাকে যতটুকু আর্থিক সহযোগিতা আমাদের উপজেলা প্রশাসন থেকে করা প্রয়োজন সেটা আমরা করবো।


এই বিভাগের আরও খবর

BROWSE BY TAG

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com