মো: আবুল কালাম আজাদ: চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ অবশেষে সংযোগ সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই উদ্বোধন করা হয়েছে হরিপুর-চিলমারী ১৪৯০ মিটার মওলানা ভাসানী সেতু।গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় সেতুর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেতু উদ্বোদনের পরপরই যান চলাচল শুরু হলেও সেতুর চিলমারী অংশের সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়নি। ফলে সেতুর উদ্বোধন হলেও সুফল ভোগ করতে পারছে না চিলমারী সহ কুড়িগ্রাম জেলাবাসি। ফলে চিলমারী সহ গোটা কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের আনন্দের মাঝে একধরনের ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ নিয়ে চিলমারীবাসির পক্ষ থেকে ব্যানার সম্বলিত একটি দাবি জানানো হয়েছে। ব্যানারে উল্লেখ করা হয়েছে চিলমারী উপজেলার রাস্তার অসমাপÍ কাজ অতিদ্রুত সমাপ্তের দাবি জানিয়েছেন। সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হরিপুর ঘাট থেকে তিস্তা নদীর উপর দিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি এলজিইডির একটি বৃহৎ প্রকল্প। সেতুটি সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করেছে। সেতুটি নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেতুটিতে ৩১টি স্প্যান, উন্নত লাইটিং ব্যবস্থা এবং উভয় পাশে প্রায় ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার নদী শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এর সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ৮৬ কিলোমিটার। এ ছাড়া অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৩৩ একর জমি। ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি এই সেতুর ফলক উন্মোচন করা হলেও নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে সেতুর অবকাঠামোর কাজ শেষ হলেও নানা জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরের ২০ আগস্ট উদ্বোধন হচ্ছে। এর ফলে দুই জেলার শতবছরের তিস্তা নদী পাড়াপাড়ের অবসান ঘটবে। ফলে সড়কপথে কুড়িগ্রাম থেকে চিলমারী হয়ে ঢাকার দুরুত্ব ১৩৫ কি.মি. কমবে। যাতায়াতের সময়ও বাচবে প্রায় ৩ ঘণ্টা।
অবশেষে সেতু উদ্বোধনের দিন পর্যন্ত চিলমারী অংশের ৫ হাজার ২৩০ মিটারের মধ্যে মাত্র ২ হাজার ১৫০ মিটার রাস্তার কাজ দায়সারা ভাবে সম্পন্ন করেই সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। সেতুটির চিলমারী অংশের কাজে বড় ধরনের গাফলতি থাকলেও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় আনজু ,আশরাফুল,মতিয়ার, মোস্তা,আহাদ আলী,ডা. লিয়ন, আশরাফ আলী, মাজেদুল ইসলাম, শাহিন মাহমুদসহ কয়েকজন জানান, সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্যই নির্মাণ করা হলেও চিলমারী অংশের রাস্তার কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় মাননীয় উপদেষ্টার কাছে আবেদন ,অতি দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে জানান ।