মোঃ আতিয়ার রহমান ঝিনাইদহ
নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরু লালন-পালন করা হয়েছে বলে জানান খামারি।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন খামারে আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলায় কোরবানির উপযোগী পশু রয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার। আর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৬টি পশুর। বাকি পশু রাজধানী ঢাকার বাজার বা অন্য জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ছোট-বড় মোট সাড়ে ১৮ হাজার খামার রয়েছে। এ সব খামারে কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৯৫ হাজার ৪৭৫টি গরু, ২ হাজার ২৪৬টি মহিষ, ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩টি ছাগল এবং ১০ হাজার ৪৫টি ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। জেলার চাহিদা মেটানোর পরও ৬৯ হাজার ৭৫৩টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব পশু ব্যবসায়ী ও খামারিরা দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার খামারি রবিউল ইসলাম জানান, তার ফার্মে ৪৫টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবছরই তিনি কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করেন। তিনি ইতোমধ্যে কয়েকটি বিক্রি করে দিয়েছেন। একদম প্রাকৃতিকভাবে তিনি গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে গরুর খাদ্যের দামও বেশি। তার খামারে ২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকার গরু রয়েছে।
সদর উপজেলার এক খামারি শরিফুল ইসলাম মনে করেন, ভারতীয় চোরাচালানের গরু দেশে না আসলে তারা ভালো দাম পাবেন। তিনিও নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরু লালন-পালন করেন বলে জানান।
গরু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, তিনি জেলার গরু-ছাগল দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন। এবারও ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করার জন্য গরু কিনেছেন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ এস এম আতিকুজ্জামান জানান, এ জেলায় ১৮ হাজারের বেশি ছোট-বড় খামারি রয়েছেন। মাংস উৎপাদনে জেলার খামারিরা অনন্য ভূমিকা পালন করছেন। জেলার উদ্বৃত্ত পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।