নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআরটিএ) যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি) এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন যোগদান করার পর থেকে কর্মকর্তা এবং কর্মচারী ও দালাল চক্রকে নিয়ে রেকর্ড রুম থেকে শুরু করে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে দালালদের কাজে লাগিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের মহা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন, এর ক্ষমতার উৎসাহ কি এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে ট্রাক প্রতি ১৫০০/ টাকা ও প্রাইভেটকার প্রতি ১০০০/ টাকা ঘুষ নিয়ে ফিটনেস প্রদান করে থাকেন।
সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন এর আগে ময়মনসিংহে কর্মকর্তা হিসেবে থাকাকালীন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করতে না তিনি দুর্নীতির কারণে ময়মনসিংহে বেশ কয়েকটা অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবৈধভাবে ডাবল ডেকার বাসের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেন, যার কোন আইনগত বৈধতা নেই। যশোর কার্যালয়ে আসার পর থেকে দুর্নীতি করতে একটুও পিছপা হননি, পরিচালক ওয়াজেদ হোসেনকে কয়েক বার এই দালাল চক্রকে নিয়ে অফিস কেন পরিচালনা করেছেন তিনি এবিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বলেছেন যে আমার অফিসের মধ্যে কোন দালাল চক্র আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে যদি দালাল চক্র সক্রিয় ভাবে কাজ করে তাহলে আমি নিজে প্রশাসন এনে দালাল চক্রকে ধরিয়ে দিব। অথচ সে নিজেই দালাল চক্রকে দিয়ে তার প্যানেল পরিচালনা করেন। কার্যালয়ের ভিতরে রেকর্ড রুম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দালালদের দিয়ে অফিস পরিচালনা করছেন। ওয়াজেদ হোসেনকে যতবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছেন ততবারই তিনি দালাল চক্ররের বিষয়টা এড়িয়ে যান। এই সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন তার নিজের কম্পিউটার সেকশন এর দায়িত্ব পালন করান দুই দালালকে দিয়ে। যে দুই দালাল তার সহকারী হিসেবে কম্পিউটারে কাজ করেন তাদের নাম, রফিক ও হাছান এই দুই দালালকে দিয়ে ওয়াজেদ হোসেনের সব ধরনের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করান। ময়মনসিংহে যখন তিনি কর্মরত ছিলেন তখন অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের তথ্য প্রকাশিত হওয়ার কারণে তার, সি গ্রেড সার্কেলে বদলি হওয়ার কথা থাকলেও যে কোন কৌশল অবলম্বন করে তিনি যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ে যোগদান করেন। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী যদি কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে থাকেন সেই ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তার পানিশমেন্ট স্বরূপ ডিমোশন হয়। কিন্তু কি ভাবে সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন এর, এ গ্রেড সার্কেলের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এই পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন দালাল চক্রকে দিয়ে অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ে ৪ জন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা হলো,মাহফুজা সিদ্দিকা, উচ্চমান সহকারী কম্পিউটার অপারেটর, মল্লিক মেহেদী হাসান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, স্বপন কুমার দাস, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, এই নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটর থাকা সত্ত্বেও কেন দুই দালালকে দিয়ে, সহকারী পরিচালক ও মোটরযান পরিদর্শকদের প্যানেলের কাজ করানো হয়।
পরবর্তী প্রতিবেদন চলমান রয়েছে