নিজস্ব প্রতিবেদক:- গাজীপুরের শ্রীপুরে সবুজ নয়নাভিরাম গ্রামের নিভৃত পল্লীতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এতে আশপাশের বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
এ সময় কারখানা থেকে কয়লা ও একটি বড় জেনারেটর জব্দ করা হয়।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বরমী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের লাকচতল গ্রামে আলমগীর-জাহাঙ্গীরের ভিটায় স্থাপিত সততা ব্যাটারি হাউজ নামের ওই অবৈধ কারখানায় অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানের আগেই খবর পেয়ে কারখানার কর্মীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযান পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের জমি ভাড়া নিয়ে গাইবান্ধার এক ব্যক্তি সেখানে কারখানা চালু করেছিলেন। আগে ওই স্থানে পোল্ট্রি শেড ছিল। পরে সেটি সিসা গলানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। রাত নামতেই শ্রমিকরা পুরনো ব্যাটারির ভেতরের সিসা বের করে আগুনে পুড়িয়ে গলাতো। এতে পুরো এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত। শিশুসহ অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযানের খবর আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কারখানার মালিকপক্ষ সব সিসা ও দামি যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেয়। ফলে কারখানাটি ফাঁকা অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের দাবি, স্থানীয় কোনো দালাল চক্র বা প্রশাসনের ভেতরের কেউ এই তথ্য আগেই দিয়ে দিয়েছে।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরেফিন বাদল বলেন, “সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। কারখানা থেকে কয়লা ভর্তি কয়েকটি বস্তা ও একটি বড় জেনারেটর জব্দ করা হয়েছে।”
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়েছি। কারখানাটি বন্ধ করা হয়েছে।”
স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিধি-ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ কারখানা যেন আর কোনোভাবেই চালু না হতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসন কঠোর নজরদারি বজায় রাখবে।