মোঃ আল-আমিন ইসলাম
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় চলমান একটি মেলায় “লটারি” নামক জুয়া ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিক ও সাধারণ জনগণ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, মেলায় প্রতিদিন প্রায় ১৬০টি লটারি বক্স চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ১ কোটি টাকার বেশি আয় করা হচ্ছে। অথচ এ মেলার পরিচালনায় খরচ মাত্র ৪ লক্ষ টাকা, বাকি পুরো টাকাই তুলে নিচ্ছে লটারি সিন্ডিকেট। এর ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ প্রতারিত হচ্ছে এবং যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
সচেতন নাগরিকরা অভিযোগ করেন, এ মেলার আড়ালে চলছে নগ্নতা, অশ্লীল নৃত্য ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ। তারা বলেন, যারা দিন আনে দিন খায়, তারা লটারির লোভে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব অনিয়ম বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তিনি কিছু করতে পারবেন না। তবে রংপুর জেলা প্রশাসক আশ্বস্ত করেছেন যে, অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এলাকার সাধারণ মানুষ ও সচেতন সমাজ দাবি করেছেন, দ্রুত এই লটারি ও অশ্লীলতার মেলাকে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে তারা দুর্বার গণআন্দোলনের ঘোষণা দেন।
তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেন, যাতে বদরগঞ্জের যুবসমাজ রক্ষা পায় এবং সাধারণ মানুষ বাঁচে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে মেলার বিরুদ্ধে এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলমান থাকলেও এখনো বন্ধ হয়নি লটারির কার্যক্রম।