• রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শক্তিশালী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (B.C.P.C) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ, দুপুরে জানাজা নরসিংদীর শিবপুরে পরিবহনে মোবাইল কোর্ট অভিযান চলমান থাকবে সিরাজগঞ্জে জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায়  ভলিবল প্রতিযোগিতা -২০২৫ এর  পুরস্কার ও ট্রফি বিতরণ  সম্পন্ন  বরিশালের চরকাউয়া নয়ানীতে নারী নিখোঁজ, থানায় জিডি মির্জাপুরে অবৈধ কয়লা চুল্লি: জনজীবন ও পরিবেশের জন্য হুমকি। সাজাপুর ফুলতলা সমাজ উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে সর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩টি থানা আকস্মিক পরিদর্শন করলেন নরসিংদী পুলিশ সুপার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জর্দা উৎপাদন, রায়গঞ্জে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের অভিযান রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত সোনালী ব্যাংক ও জিয়া পরিষদের উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে মহান বিজয় দিবস পালন সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বনভোজন ও মিলনমেলা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লাপাড়া কৃষি অফিসের উদ্যোগে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানবীজ কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে বিতরণ  সিরাজগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  শাজাহানপুরে জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত: প্রধান অতিথি সৌরভ হাসান শিবলু মনিরামপুরে নির্বাচনী হাওয়া: কুলটিয়া ইউনিয়নে ধানের শীষের প্রচারণা তুঙ্গে পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ জেলায় এফএমডি টিকা প্রয়োগের নিমিত্তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার পৌর যুব বিভাগের বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ

সাতক্ষীরায় সাতটি ব্রিজ ভেঙে বিচ্ছিন্ন ৩০টি গ্রাম

দৈনিক ঢাকা মেইল - DAILY DHAKA MAIL / ৬৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

জি এম শরিফুল ইসলাম সানু সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত অন্তত সাতটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি। মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রিজ সাতটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম। জেলা সদরে আসতে ৪ থেকে ১০ কিলোমিটারের পরিবর্তে তাদের পাড়ি দিতে হচ্ছে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময়সহ খরচও বেড়েছে স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ, ব্রিজ নির্মাণের সময় অনুসরণ করা হয়নি সিএস রেকর্ড। নেওয়া হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতামতও। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এই সমন্বয়হীনতায় কারণে ব্রিজ গুলো ভেঙে পড়েছে।
ভেঙে পড়া ব্রিজগুলো হলো, বাকড়া ব্রিজ, টিকেট ব্রিজ, হিজলডাঙ্গা ব্রিজ, চরগোবিন্দপুর ব্রিজ, শিমুলবাড়িয়া ব্রিজ, ডাড়ার খাল ব্রিজ ও এল্লারচর ব্রিজ। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মিত ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্য ১০ মিটার থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোনটি ভেঙে নদীর মাঝখানে পড়ে আছে। কোনটির এক পাশ পাড়ে ঝুলছে, তো অপর পাশ ভেঙে নদীতে পড়েছে। কোনটির একপাশে বাশ বেধে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ, কোনটির উপর চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাশের সাকো।
ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় যখন এসব ব্রিজ নির্মাণ করে, তখন ভরাট হয়ে সরু খালে পরিণত হয়েছিল মরিচ্চাপ নদী। এরপর ২০২১—২২ ও ২০২২—২৩ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মরিচ্চাপ নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। এতে নদী ফিরে পায় পুরানো রূপ, বেড়ে যায় প্রস্থ। চাপ বাড়ে জোয়ারের পানিরও। এতে দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ে।
চরগোবিন্দপুর এলাকার রমজান আলী সরদার বলেন, নদীর তুলনায় ব্রিজগুলো এতো ছোট যে, পানির তোড়ে ভেঙে পড়েছে। শুধু চরগোবিন্দপুর ব্রিজই নয়, এই নদীর সব ব্রিজের একই অবস্থা।
ডাড়ার খাল এলাকার আব্দুল মালেক জানান, ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ায় হাটবাজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে জেলা সদরে যেতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। সময়মতো স্কুল—কলেজে যেতে পারছে না তাদের ছেলে—মেয়েরা। একই সাথে ঘের অধ্যুষিত হওয়ায় উৎপাদিত মাছ বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না তারা।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ—বিভাগীয় প্রকৌশলী মুজিয়ুর রহমান বলেন, স্থান ভেদে মরিচ্চাপ নদীর প্রস্থ ৫০ থেকে ৭০ মিটার। কিন্তু এ নদীর উপর নির্মিত ব্রিজগুলো সর্বোচ্চ ২০ মিটার হতে পারে। এতো বড় নদীর উপর এমন ছোট ছোট ব্রিজ টিকবে কিভাবে?
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নদী বা খালে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে এনওসি নিতে হয়, যা এসব ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি। ব্রিজগুলো যখন নির্মাণ হয়েছে, তখন মরিচ্চাপ নদী ছিল সরু খালের মতো। আমরা নদীর সীমানা অনুযায়ী খনন করেছি। কিন্তু ব্রিজগুলো নদীর সীমানা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি।
পাউবোর এই কর্মকর্তার বক্তব্য মিলে যায় একই নদীর উপর এলজিইডি নির্মিত ব্যাংদহা ব্রিজের সাথে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২২ সালে নির্মিত এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। নদী খননের পর অন্যান্য ব্রিজ ভেঙে পড়লেও ব্যাংদহা ব্রিজ ঠাই দাড়িয়ে আছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমেদ বলেন, ধসে পড়া সাতটি ব্রিজের মধ্যে চারটি এলজিইডির মাধ্যমে নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

BROWSE BY TAG

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com