অনুসন্ধান প্রতিবেদন
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআরটিএ) যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি) এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন এর নির্দেশে কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতে দেখা যায় দুই দালালকে। দুই দালালের নাম, রফিক ও হাছান। জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, দালাল রফিক ও হাছান সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন এর প্যানেলে কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করছেন। এদের নাম যশোর বিআরটিএ সার্কেলে কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের তালিকায় নেই। এই দুই দালাল কে বা কাহারা এদের ক্ষমতার উৎস কি। অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী এই দুই দালাল সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন এর নিজস্ব ক্ষমতায় বিআরটিএ যশোর কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করছে।
যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ে অনুসন্ধান টিম সরেজমিনে গিয়ে সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেনকে দালাল চক্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার অফিস সম্পন্ন দালাল মুক্ত আমার অফিসের ভিতরে কোন ধরনের দালাল কাজ করে না।
তিনি আরো বলেন আমার অফিসে যদি কোন দালাল চক্র সক্রিয় ভাবে কাজ করে তাহলে আমি নিজে প্রশাসন এনে দালাল চক্রকে প্রকাশ্যে ধরিয়ে দিব।
কিন্তু অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কর্মকর্তাদের সহযোগী হিসেবে দালালদেরকে কাজ করতে দেখা যায়। সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেনকে যতবার এই দালাল চক্ররের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে তিনি ততবারই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। দালাল চক্ররের এক সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দালাল বলেন ১০০০/ থেকে ১৫০০/ টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন এই টাকা সহকারী পরিচালক এর নির্দেশে বিভাগীয় প্রধান থেকে শুরু করে যশোর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সবাই ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের কোন বিষয় কারো জানা নেই যে সহকারী পরিচালক দালাল চক্রকে দিয়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করাতে পারেন, কিন্তু যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এই কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে এই দালালদেরকে দিয়ে কম্পিউটার অপারেটরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলমান রেখেছেন।
মোটরযান পরিদর্শক অনিমেষ মন্ডল এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট মোঃ এনামুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তবে সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন এই দুই জনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে কোন কিছু জানা যায়নি।
পরবর্তী প্রতিবেদন চলমান রয়েছে।