নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বগুড়ার শেরপুরের এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে পাবনার চাটমোহর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মিমোকে (৩৮) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ২০২৫) বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মামুনুর রশিদ মিমো বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার উত্তর সাহাপাড়ার মৃত খায়রুল আলমের ছেলে। তিনি ৩৬তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা পদে কর্মরত রয়েছেন।
প্রায় দুই বছর আগে তিনি প্রতিবেশী এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় গত ১৩ এপ্রিল ২০২৪ তাকে বেড়ানোর কথা বলে কাহালু উপজেলার বাটলদীঘি এলাকার একটি নির্জন শ্মশানঘাটে নিয়ে যান এবং সেখানেই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কাহালু থানায় মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারিক কার্যক্রমের জন্য বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে আসামি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন এবং নির্ধারিত তারিখে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মামুনুর রশিদ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি মোজাম্মেল হক এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও মোসলেম উদ্দিন লিটন।
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্তকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।