গুলজার ক্রাইম রিপোর্টার: বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী ইউনিয়নের কূপতলা মধ্যপাড়ার জনৈক চান্দু মেম্বারের বাড়ীর সামনে বাঁশের আড়ায় ছোট পানির ডোবায় পড়েছিলো শিশু মেহেদী হাসানের লা-শ। ভিক্টিম মেহেদির মা মোছাঃ মিষ্টি আক্তার বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করা হয়। এজহার সুত্রে জানা যায়, ঐ শিশুর মা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করার সুবাদে শিশু মেহেদী হাসান কুপতলা মধ্যপাড়ায় তাহার নানির বাড়ীতে থাকতো। ২১/০৯/২০২৫ তারিখ বিকালে সে বাড়ীর সামনে খেলাধুলা করছিল। বিকালে তাকে দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজা খুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় চান্দু মেম্বারের বাড়ীর সামনে আড়ার নিকট বাঁশঝাড়ের পাশে একটি ছোট ডোবার পানিতে স্থানীয় লোকজন মোটর সাইকেলের লাইটের আলোয় ভিক্টিম কে মৃ-ত অবস্থায় ভাসমান দেখতে পায়। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল যে, শিশুটি খেলার সময় অসাবধানতাবশত পানিতে পড়ে মারা গেছে। তাই পুলিশকে অবহিত না করে, আমার শ্বশুর মোঃ আনারুল ইসলাম শিশুটির দাফন সম্পন্ন করে। কিন্তু ২৩/০৯/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় আসামী সুইটি বেগম তার মাতা আনিছা বেগমের নিকট স্বীকার করে যে, পূর্ব শত্রু-তা-র জের ধরে ক্ষোভে আমার শিশু সন্তান মেহেদী হাসানকে শ্বা-স-রো-ধ করে হ-ত্যা করে, লা-শ গোপনের জন্য ডোবায় ফেলে দেয়। এই বিষয়ে শিকারোক্তি দিয়েছে অভিযুক্ত সুইটি বেগম। হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী সুইটি বেগম (২৩) ঐ এলাকার হবিবর রহমান এর কন্যা এবং কুপতলা মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। তাহার বিরুদ্ধে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা নং-১৫, তারিখ-২৪-০৯-২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১, পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয়েছে।