নিতাই কুমার সুমন, নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি (বগুড়া): বগুড়ার নন্দীগ্রামে পা হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করা আইসক্রিম বিক্রেতা রফিকুল ইসলামের করুণ বাস্তবতা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংবাদ “টাকা ছাড়া হচ্ছে না প্রতিবন্ধি ভাতা” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সংবাদটি চোখে পড়ে বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন-এর। বিষয়টি জানার পরই তিনি মানবিক উদ্যোগ নিয়ে রফিকুলের পাশে দাঁড়ান। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় অবস্থানরত সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন সংবাদটি দেখেই কোনো বিলম্ব না করে রওনা দেন বগুড়ার নন্দীগ্রামের উদ্দেশে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি সরাসরি পৌঁছে যান রফিকুল ইসলামের বাড়িতে। সাবেক এমপিকে সামনে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন রফিকুল ইসলাম। আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি কখনো ভাবিনি, আমার মতো অসহায় একজনের পাশে আপনি নিজে এসে দাঁড়াবেন। একসময় আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা চালাতাম, কিন্তু তিন বছর আগে দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে সবকিছু থেমে গেছে। সরকারি অফিসে অনেকবার গিয়েছি, কেউ সহায়তা করেনি। আজ আপনি পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, এ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।” এ সময় মোশারফ হোসেন রফিকুলের হাতে চাল, ডাল, চিনি, আটা, আলু, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “মানুষ মানুষের জন্যই। রফিকুলের মতো পরিশ্রমী মানুষ আজ প্রতিবন্ধকতার কারণে জীবনের সঙ্গে লড়ছে—এটা সত্যিই কষ্টের। আমি তার পাশে আছি এবং থাকব।” এ সময় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া ঘটনাস্থলে এসে রফিকুলের হাতে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক বেলায় হোসেন আদর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম মজনু, গোলাপ আকন্দ, যুবদল নেতা রাজ্জাক হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মুসা, কুরবান আলী, রাকিব বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল রানা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান পলিন, ১নং বুড়ইল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম, ভাটগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ-সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।