নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর বারো রাস্তার মোড়ে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মধ্যে ভয়াবহ মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা চালক ইদ্রিস আলী (৬০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী ও শিশু-সহ অন্তত পাঁচজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
সোমবার ( ১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চন্দ্রিমা থানার আওতাধীন বারো রাস্তার মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে শিশু মুসকান (৫) ও রেনুকা (৩২) নামের এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রী নামানোর জন্য অটোরিকশাটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং যাত্রীরা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালক ইদ্রিস আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাসে ভাঙচুর চালায়। তারা দ্রুত বাসচালককে গ্রেফতার ও ওই এলাকায় স্পিডব্রেকার নির্মাণের দাবি জানান। এসময় রাজশাহী-নওগাঁ সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, নিহতের মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। পলাতক বাসচালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নগরীর বারো রাস্তার মোড়টি দীর্ঘদিন ধরেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলাচল ও কার্যকর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের অভাবে প্রায়ই এ এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। তবুও এখনো কোনো স্থায়ী সমাধান নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।