স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরম্ভা ইউনিয়নের দুর্গম এই চরাঞ্চলে প্রায় ৬-৭ শতাধিক মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি পরিবারের বাড়িঘরের চারপাশে সুরক্ষার বেড়িবাঁধ না থাকায় অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। এতে ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি মাছ চাষ, গবাদি পশু পালন, রান্না ও বসবাসে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ফলে শিশুদের পড়াশোনা ও স্কুলে যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। রান্নাঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক পরিবার না খেয়েই দিন কাটাচ্ছে। দুই কিলোমিটারজুড়ে ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমন ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
এলাকায় সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চার কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। কাছাকাছি কোনো স্কুল না থাকায় শিশুদের পড়াশোনায় বড় বাধা তৈরি হয়েছে। চলাচলের পথ জোয়ারের পানিতে ডুবে গিয়ে সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবার রাতে ঘুমানোর জায়গারও সংকটে পড়েছে। শুকনো খাবার ও নদীর পানি খেয়েই কোনো রকমে দিন পার করছেন তারা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ওই চরাঞ্চলে ভূমিহীন পরিবারগুলো খাস জমিতে বসবাস করলেও প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা সরকারি জমি দখল করে মাছ ও ধান চাষ করছেন। সরকারের সময়ে প্রভাব খাটিয়ে কিছু নেতা নাম-বেনামে এসব জমি দখল করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্লাবিত পরিবারগুলো দ্রুত সরকারি সহায়তা ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।