মোঃ মিজানুর রহমান মানিক ক্রাইম রিপোর্টার নওগাঁঃ নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। গ্রামের কৃতি সন্তান মরহুম আস্তান মোল্লার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও আয়োজিত হয় এ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে বিজয়ী হয় হাঁসাইগাড়ী ও কুঁজাইলের দল। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিযোগিতাটি পরিণত হয় এক বিশাল উৎসবে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নওগাঁ সদর উপজেলার ঘুটার বিলে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে হাঁসাইগাড়ী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক তছলিম উদ্দিন মিঠুর সভাপতিত্বে এবং অ্যাডভোকেট মো. ইমন মাহমুদ স্বপন ও সোহেল রানার পরিচালনায় প্রতিযোগিতাটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, প্রধান বক্তা ছিলেন নওগাঁ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মামুনুর রহমান রিপন।বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নজমুল হক সনি, নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম ধলু,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূরে আলম মিঠু, মো. শফিউল আজম (ভিপি রানা), মো. খায়রুল আলম গোল্ডেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মোস্তাক আহম্মেদ রাজা, সাধারণ সম্পাদক স.ম. আল কাফি তুহিন, নওগাঁ পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব দিদারুল হক রতন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খালেদ হাসান লিপ্ত, মো. ওবায়দুর রহমান সাবু, হাঁসাইপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জালাল হোসেন শাহানা, হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: তছলিম আলী শাহ,সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাজু আহম্মেদ বাবুসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সাংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, “আবহমান গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের শেকড়। মরহুম আস্তান মোল্লার স্মরণে এমন একটি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে হাঁসাই গাড়ী গ্রামের মানুষ যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তরুণ প্রজন্মকে ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে এ ধরনের আয়োজনের বিকল্প নেই। প্রধান বক্তা মামুনুর রহমান রিপন বলেন, “আজকের এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুধু বিনোদনের উৎস নয়, এটি আমাদের লোকজ ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আমরা যদি এই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি, তাহলে আমাদের জাতিসত্তাও আরও মজবুত হবে। মরহুম আস্তান মোল্লার অবদান গ্রামবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রেখেছে, যা সত্যিই গর্বের। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অংশগ্রহণকারী নৌকা দলগুলো দর্শকদের মন জয় করে নেয়। বিলের মাঝে সড়কে হাজারো দর্শকের উপস্থিতি এক আনন্দঘন উৎসবে পরিণত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই আয়োজন শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখার এক অনন্য প্রয়াস হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে স্থানীয়দের কাছে।