আজহারুল ইসলাম সাদী, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ- সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পরপর তিনটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে পাঁচ দিনের এক নবজাতককে খালে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত পৌনে ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, রাত ৮টার দিকে শিশুটির বাবা ইব্রাহিম খলিল (৪২) থানায় গিয়ে নবজাতক নিখোঁজ হয়েছে জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চান। তবে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় এবং শিশুটির মা শারমিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন জানান, তাদের আগে থেকেই পাঁচ বছর ও দেড় বছরের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পরপর কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ায় মানসিক চাপে ও ক্ষোভে তিনি সদ্যজাত শিশুটিকে বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেন।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ খালের কচুরিপনার ভেতর থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে শিশুটিকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলারোয়া থানার ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম আরও জানান, মৃত শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর অভিযুক্ত শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নবজাতকের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন সরকার, ডিবি ও পিবিআই কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।