• বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ জেলায় এফএমডি টিকা প্রয়োগের নিমিত্তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার পৌর যুব বিভাগের বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম – শ্রীমঙ্গলে জামায়াত আমির ইসমাইল হোসেন বদলগাছীতে জামায়াতে ইসলামীর বিজয় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর শিবপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমান ১ জন এতিমের আজীবন ভরণপোষণের দায়িত্ব নিলেন। মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে আশাবাদী জানে আলম খোকা, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় রোম প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ জন দরদী জহুরুল ইসলাম জুয়েলের মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন প্রধান অতিথি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগ শ্রমিক ইউনিয়নে ক্রাম বোর্ড প্রদান নরসিংদীতে মাদকের ব্যবহার রোধে মোবাইল কোর্টের অভিযান বদলগাছীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা নরসিংদীর শিবপুরে ১২টি গরুসহ তিন ডাকাত গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর শিবপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ঢাকা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন

বাজুয়ার বেড়েখালের রাস্তার বেহাল অবস্থা, অচল জনজীবন।

dailydhakamail / ৭২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫

অতনু চৌধুরী(রাজু) ব্যুরো চীফ খুলনাঃ- খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের ৭’নং ওয়ার্ডের বেড়েরখাল এলাকার মানুষ বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত এই রাস্তাটি নিয়ে দুর্ভোগ বয়ে চলেছেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়ক কাদায় একাকার হয়ে যায়। কোথাও আবার বড় বড় গর্ত যার ফলে শিক্ষার্থী, রোগী, কর্মজীবী মানুষ সবাই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বর্ষা এলেই যেন তাদের জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ যন্ত্রণা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্থানীয়রা জানান, আনুমানিক প্রায় ৪’ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ইটের সলিং এর রাস্তাটি দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের যাওয়ার একমাত্র যাতায়াতের পথ। রাস্তার দুই পাশে প্রায় ১০’হাজার মানুষ বসবাস করেন। এই রাস্তা দিয়েই এলাকার লোকজন বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল’সহ নানা স্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু বছরের বেশির ভাগ সময়ই এই রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই রাস্তায় ফসল নিয়ে বাজারে যাওয়া খুব কষ্টের। কাদা আর গর্তে জন্য গাড়ি চলে না। ফলে সময়মতো ফসল বিক্রি করতে পারি না। এতে লোকসান হয়। কতবার মেম্বার চেয়ারম্যানকে বলেছি, কেউ আমাদের কথা শোনেন নাই।

এ বিষয়ে রঞ্জন সরকার নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বর্ষাকালে এই রাস্তা চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। জুতা পরে বের হলেও কিছুদূর যেতেই পা কাদায় আটকে যায়। অনেক সময় অসাবধানতার জন্য পড়ে যাই। জামাকাপড় ভিজে যায়। কোন রোগী অসুস্থ হলে কোন যানবাহন পাওয়া যায়না।

অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে দীনবন্ধু মন্ডল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন,একদিন রাতে বৃষ্টির মধ্যে স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে হয়েছিল। ইজিভ্যান তো চলেই না, কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়েছিল। পথেই দুবার পড়ে গেছি। এখনো সেই ভয়ের কথা মনে পড়লে গা শিউরে উঠে।

এ বিষয়ে কামাল হাওলাদার নামের স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, এলাকার জনগণের একটাই প্রশ্ন আর কতদিন এই খানাখন্দভরা রাস্তায় হেঁটে, পড়ে, দুঃখ নিয়ে চলতে হবে। আমরা এইটার দ্রুত সমাধান চাই এবং একটি নিরাপদ ও চলাচলের উপযোগী রাস্তা চাই।

এ বিষয়ে বিচিত্র মন্ডল নামের স্থানীয় এক চাকুরীজীবী বলেন, প্রতিদিন অফিসে যেতে ও আসতে এই রাস্তায় হাঁটতে হয়। কাদায় পা আটকে যায়। অফিসে যাওয়ার আগেই কাপড় নোংরা হয়ে যায়। এত কষ্ট আমরা কেন করবো? রাস্তা পাকা মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অথচ বর্ষা ছাড়াও শুকনো সময়েও চলাচলে দুর্বিষহ। কেউ সাইকেল চালাতে পারে না, মোটরসাইকেল চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুলপড়ুয়া শিশু, বৃদ্ধ,বৃদ্ধা, গর্ভবতী নারী, রোগী সবাইকে এই পথে চলাচল করতে হয় রোজ।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই রাস্তা পাকা না করলে গ্রামীণ জনপদের জীবনযাত্রা আরও কষ্টকর হয়ে পড়বে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি, তিন খাতেই এর প্রভাব পড়ছে মারাত্মকভাবে। এখন প্রয়োজন সরকারি জরুরি বরাদ্দ ও উদ্যোগে এই কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা।


এই বিভাগের আরও খবর

BROWSE BY TAG

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com